চকরিয়ায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গিয়ে হামলার শিকার
নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া :
চকরিয়া উপজেলার হারবাং বনবিটের জবর দখলে নেওয়া সংরক্ষিত বনভূমি উদ্ধার এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গিয়ে অমানবিক হামলার শিকার হয়েছেন ৯ জন বন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
ঘটনার সময় হামলা চালিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া হয় তাদের কাছ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র। ওইসময় দখলবাজদের পক্ষে দেড়শতাধিক লোক বনকর্মীদের চারিদিক থেকে ঘিরে ফিলে। এরপর প্রায় দুইঘণ্টা আটকে রেখে তাদের গাছের সাথে বেঁধে দফায় দফায় গণপিটুনি দিয়ে শরীর থ্যাঁতলে দেয়।
বুধবার দুপুর একটার দিকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ভিলেজার পাড়ায় এই হামলার ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে চকরিয়া থানা ও হারবাং ফাঁড়ির পুলিশদল বিকাল তিনটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। উদ্ধার করা হয় খোয়া যাওয়া বনকর্মীদের দুটি আগ্নেয়াস্ত্র। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন আজিজনগর বনবিট কর্মকর্তা মো. আজহার আলী (৪০), হারবাং বনবিট কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ (৪৫), ওয়াইল্ডলাইফ স্কাউট যথাক্রমে কামরুল আলম (৩৪), মো. ইউসুফ (২৯), মানিক চন্দ্র দে (৪২), ফরেস্ট গার্ড নীলিমেষ বৈরাগী (৩৭) ও শওকত উল্ল¬াহ চৌধুরী (৪২), সিপিজি সদস্য করিম দাদ (৫৫) ও শফি আলম (৫৫)।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মো. মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী জানান, হামলার সময় প্রাণে বাঁচতে কয়েকজন বনকর্মী পালিয়ে এসে খবর দেয় সংশ্লি¬ষ্টদের। পরে পুলিশের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করা হয় মাটিতে শোয়া অবস্থায়। অমানবিক মারধরে সবার শরীর থ্যাঁতলে গেছে।
হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইসি) ইন্সপেক্টর মাহতাব উর রহমান বলেন, ‘বনকর্মীদের উচ্ছেদ অভিযানের শুরুতে আক্রমণের সময় আত্মরক্ষার্থে চার রাউন্ড ফাকা গুলি ছুঁড়ে বনকর্মীরা। এ সময় একজন স্থানীয় লোক গুলিবিদ্ধ হয়ে বলে শুনেছি। তবে সঠিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, ‘ভূমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সময় বনকর্মীদের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযানে নেমেছে। লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে এ ব্যাপারে মামলা নেওয়া হবে।’
টপ নিউজ