উন্নয়নের চালিকা শক্তি হচ্ছে গ্যাস। গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহে ঘাটতির কারণে সমালোচনার মুখে পেট্রোবাংলা। এখন পেট্রোবাংলা দেশীয় গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে জোর দিতে চায়। এতদিন আমদানি নির্ভর জ্বালানির দিকেই মনোযোগ ছিল বেশি।
গত দুই দশক দেশের জ্বালানি খাত গুরুত্ব পায়নি। জ্বালানির চিন্তা না করেই একের পর এক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে এতে বিদ্যুৎ খাত অনেক এগোলেও জ্বালানি সংকট বেড়েছে। একটি জাতীয় সংবাদপত্র সূত্রে জানা যায়,গত ১৪ ফেব্রুয়ারি গ্যাস খাতের বিশেষজ্ঞ, ভূতত্ত্ববিদ, সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের মতামত জানতে এক সেমিনারের আয়োজন করে পেট্রোল বাংলা।
বিশেষজ্ঞরা দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পেট্রোল বাংলাকে।
দেশের মোট মজুতে সত্তর শতাংশ গ্যাস ইতিমধ্যে তোলা হয়ে গেছে। বর্তমানে দেশীয় গ্যাস থেকে আসছে ৭৬ শতাংশ, যার মধ্যে ৪৭ শতাংশ সরবরাহ করছে বহুজাতিক কোম্পানি। আর ২৪ শতাংশ গ্যাস আসছে আমদানি করা এলএনজি থেকে।
গ্যাসের চাহিদা পূরণে নিজস্ব গ্যাস উৎপাদনে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে চায়। তাই নতুন নতুন কূপ খনন করা হচ্ছে। সমুদ্রে তেল গাছ অনুসন্ধানের জন্য শীঘ্রই দরপত্র আহ্বান করা হবে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকায় দ্বিমাত্রিক ও ত্রিমাত্রিক জরিপ পরিচালনা করা হবে।
জ্বালানি খাতে আমদানি নির্ভরতার কারণে ডলার রিজার্ভের ওপর চাপ পড়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বেড়েছে। ইতিহাসের সর্বোচ্চ লোকসানের দায়ে পড়েছে পিডিবি। জ্বালানি খাতে স্বয়ংক্রিয় দাম নির্ধারণের দিকে যাচ্ছে সরকার।
ভূতত্ত্ববিদ বদরূল ইমাম মনে করেন, বাংলাদেশ গ্যাসের দেশ। এখানে জ্বালানির কোনো সমস্যাই হতে পারে না। সমস্যা হচ্ছে অনুসন্ধান না করা। যথাযথ অনুসন্ধান করে গ্যাস উৎপাদন করলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোনো সমস্যাই থাকে না।
শতভাগ বিদ্যুতায়ন সরকারের বড় সাফল্য। জ্বালানি এখন মানুষের মৌলিক চাহিদার মতো হয়ে গেছে। জ্বালানি একটি কৌশলগত খাত। এর প্রভাব সব খাতে পড়ে। তাই সরকারের নীতি-পরিকল্পনায় এ খাতকে সর্বেচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রাখতে হবে।