পদযাত্রা কর্মসূচিতে বরকত উল্লাহ বুলু
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, বাংলাদেশে কোন গণতান্ত্রিক সরকার নেই, আছে এক দলীয় সরকার। এ সরকার ক্ষমতায় এসে বিগত ১৪ বছর বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, হামলা, নির্যাতন, নিপীড়ন চালিয়েছে। প্রতিনিয়ত মিথ্যা মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। সাজানো মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে।
তিনি গতকাল রোববার বিকালে বাকলিয়া এক্সেস রোডে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ঘোষিত ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নে মহানগর বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিপূর্বক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন বেগমন করতে হবে। আমরা জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করছি। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য আজ জনগণের নাগালের বাইরে চলে গেছে। আওয়ামী সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীর কারণে দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতি। সবকিছু আজ সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, গুম, খুন আর দুর্নীতি হচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনীতি। শেয়ার বাজারের টাকা কোথায় গেল। সব টাকা পাচার হয়ে গেছে। গণতন্ত্র পূনরুদ্ধার, একটি অবৈধ সরকারের কবল থেকে দেশকে রক্ষা করা, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংগ্রাম করার জন্য আমরা মাঠে নেমেছি।
তিনি বলেন, গ্যাস, বিদ্যুৎ. চাল, ডাল, তেল ও আটাসহ নিত্যপ্রয়োজীনয় দ্রব্য, সার ও ডিজেল, কৃষি উপকরণের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষ আজ অসহায় হয়ে পড়েছে।
প্রধান বক্তব্যে বক্তব্যে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবে রহমান শামীম বলেন, শান্তির সমাবেশের নামে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে বিএনপি, অঙ্গ ও সহোযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তাদের সমাবেশে জনগণ কোন প্রকার সাড়া দিচ্ছে না। টাকা খরচ করেও তারা সমাবেশে লোক আনতে পারছে না। অথচ বিএনপি কোন প্রকার অর্থ খরচ না করেই হাজার হাজার লোক নিয়ে সকল কর্মসূচি সফলভাবে পালন করে যাচ্ছে। সরকার পতন আন্দোলনে বিএনপি রাজপথে আছে। এই সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বে না ।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, জনগণ আর এ সরকারকে চায় না। সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে। এখন জোরপূর্বক ক্ষমতায় থাকার জন্য মরিয়া উঠেছে। বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে লক্ষ জনতা রাজপথে নেমে এসেছে। কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রমের বিষয়ে সম্পাদক এম নাজিমুদ্দিন বলেছেন, আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আজ গরিব মানুষ না খেয়ে আছে, মধ্যবিত্ত গরিব হয়ে গেছে। এই জুলুমবাজ আওয়ামী সরকার থেকে মুক্তি পেতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রয়োজন।
মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাসেম বক্কর বলেন, দেশে এখন নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে জনগণ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এরমধ্যে কলকারখানা ও সিএনজি গ্যাসের মূল্য আবারও বৃদ্ধি করে সংকট আরো বৃদ্ধি করে দিয়েছে। প্রতিমাসে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করছে।
ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র মুক্ত করতে হবে। এ দেশের মানুষকে কথা বলতে দিতে হবে, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলনরত কোনো দল এ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে দেবে না।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা.শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পথযাত্রায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এম নাজিমুদ্দিন, আবুল হাসেম বক্কর, ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন, আবু সুফিয়ান।
মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন ও সদস্য কামরুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, হাজী মো. আলী, মাহবুব আলম, অধ্যাপক নুরুল আলম চরাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল প্রমুখ।
মহানগর বিএনপির পদযাত্রা শাহ আমানত সংযোগ সড়ক হাইওয়ে এক্সেস রোড থেকে শুরু হয়ে ফুলকলি, রাহাতারপুল, কিলোমিটার, চাঁন্দগাঁও থানা হয়ে বহদ্দারহাটে এসে শেষ হয়। বিজ্ঞপ্তি