সুপ্রভাত ডেস্ক »
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪ হাজার ৩৭৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৬ জনের।
এ নিয়ে করোনায় মোট মারা গেলেন ২৮ হাজার ১২৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
আজ শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় র্যাপিড অ্যান্টিজেন ও আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে ২৯ হাজার ৮৭১টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪ হাজার ৩৭৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪.৬৬ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে ৪ জন নারী ও ২ জন পুরুষ। এর মধ্যে ৩ জন ঢাকার, ২ জন চট্টগ্রামের এবং ১ জন রাজশাহীর।
এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত মোট ১৬ লাখ ৯ হাজার ৪২ জনের করোনা শনাক্ত হলো।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং শনাক্তের হার ছিল ১২ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ। গতকাল ৩ হাজার ৩৫৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
গত বছর ডেল্টা সংক্রমণের পর করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময় লকডাউনের বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছিল।
গত বছরের জুন-জুলাই মাসে করোনা শনাক্তের হার ছিল ২০ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে। গত ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। আগস্ট মাসে গড়ে শনাক্তের হার ছিল ২০ দশমিক ১৯ শতাংশ। সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে শনাক্তের হার কমতে শুরু করলে জীবনযাত্রাও স্বাভাবিক হয়ে আসে। গত ৮ সেপ্টেম্বর শনাক্তের হার ছিল ১০ এর নিচে। অক্টোবর মাসে শনাক্ত কমে গড়ে ১ দশমিক ৭৭ শতাংশে পৌঁছায়।
নভেম্বরের শুরু থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শনাক্ত হার ছিল ১ এর ঘরে।
এদিকে, গত বছরের ৯ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। গত ১১ ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়ে ফেরত দুই নারী ক্রিকেটারের শরীরে ‘ওমিক্রন’ শনাক্ত হয়েছে। দেশে করোনার সংক্রমণ ২২ ডিসেম্বর থেকে বাড়তে শুরু করে। জানুয়ারির প্রথম ৭ দিনেই শনাক্তের হার বেড়ে ৬ শতাংশে পৌঁছায়।