সুপ্রভাত ডেস্ক »
চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪৬২ কোটি ডলারে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ১ হাজার ৩৩৯ কোটি ডলারের ঘাটতি ছিলো। আর্থাৎ আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ৮৭৭ কোটি ডলার।
রোববার (১০ মার্চ) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক লেনদেনের হালানাগদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। খবর অর্থসূচক।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) বাংলাদেশ ৩ হাজার ১৩৯ কোটি ডলারের পণ্য ও সেবা রপ্তানি করেছে। তার বিপরীতে আমদানি করেছে ৩ হাজার ৬০২ কোটি ডলারের পণ্য ও সেবা। সব মিলিয়ে বৈদেশিক বাণিজ্যে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে ৪৬২ কোটি ডলার।
গত জানুয়ারি শেষে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাব ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ৩১৪ কোটি ডলারে, এক মাসে আগেও যা ছিল মাত্র ১৯৫ কোটি ডলার। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি শেষে এ হিসাবে ঘাটতি ছিল ৪৬৪ কোটি ডলার।
চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকা মানে নিয়মিত লেনদেনে কোনো ঋণ করতে হয় না দেশকে। আর ঘাটতি থাকলে ঋণ নিয়ে তা পূরণ করতে হয়।
নানামুখী চাপে পড়ে ২০২২ সালের জুন শেষেও এ হিসাবে বড় ঘাটতি ছিল। আমদানি কমানোসহ বৈদেশিক মুদ্রার খরচ কমিয়ে আনার পর ২০২৩ সালের জুলাইতে এ হিসাব ইতিবাচক ধারায় ফেরে।
গত জানুয়ারি শেষে বাংলাদেশের আর্থিক হিসাবে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৭৩৫ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের প্রথম সাত মাস শেষে ঘাটতি ছিল ৮১ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-জানুয়ারি সার্বিক ভারসাম্যে (ওভারঅল ব্যালেন্স) ঘাটতি রয়েছে ৪৬৮ কোটি ডলার। ২০২৩ সালের জানুয়ারি শেষে ঘাটতি ছিল ৭৩৮ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরের সাত মাসে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে এক দশমিক ২৪৩ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এফডিআই এসেছিলো ২৮০ কোটি ডলার।