মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে যে উন্নয়ন ও অগ্রগতি হয়েছে তা নজিরবিহীন। আজ সারা বিশ্ব বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার বিস্মিত। একটি দরিদ্র দেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। ভিখারির হাত পরিণত হয়েছে কর্মীর হাতে। আগামীতেও বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের স্বার্থে ও জনগণের সার্বিক কল্যাণে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি গতকাল বুধবার সকালে প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশপ্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আ জ ম নাছির আরও বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী সময়ে দেশ ও জাতি অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিল। ইতিহাসের উল্টো যাত্রায় বাংলাদেশ পরিচালিত হচ্ছিল পাকিস্তানি ভাবধারায়। সেসময় আওয়ামী লীগকে নানাভাবে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। এদেশে সব ধরনের অপকর্ম দুর্নীতি, লুটপাট চলছিল অবাধে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য শেখ হাসিনা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফিরে এসেছিলেন। সেদিন দিশেহারা আওয়ামী লীগের হাল ধরার একমাত্র বিশস্ত ও আস্থাভাজনের প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। এ কথা অকপটে স্বীকার করতে হবে একমাত্র শেখ হাসিনার কারণেই বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমরা যদি দলকে ভালবাসি, দেশকে ভালবাসি তাহলে জনগণের সাথে মিলেমিশে থাকতে হবে। তাদের সুখ-দুঃখের সাথী হতে হবে। বিশ্বাস ও আস্থার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশ বাঁচবে, আওয়ামী লীগ বাঁচবে এবং এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে। আমরা একদিন উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত হবো।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, আজকের এ দিনে ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছেন বলেই আজ বাংলাদেশ রাহুমুক্ত হতে পেরেছে। সেদিন স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান চাননি শেখ হাসিনা দেশে ফিরুক। বৃষ্টি¯œাত সেদিন কুমির্টোলা বিমানবন্দরে ১২ লক্ষ মানুষ শেখ হাসিনাকে বরণ করে নিয়েছিল। মা-বাবা, ভাই, আত্মীয়-স্বজন হারানো শেখ হাসিনা শোককে শক্তিতে পরিণত করে দেশ ও জাতির হাল ধরেছিলেন। তিনি আজ শুধু একটি দেশের কর্ণধার নন, বিশ্বের অন্যতম সফল রাষ্ট্রনায়ক। তাই তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, এম. জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা শেখ মো. ইছহাক, সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, হাসান মাহমুদ শমসের, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আবু তাহের, পেয়ার মোহাম্মদ, জাহাঙ্গীর চৌধুরী প্রমুখ।
সভার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি