নিজস্ব প্রতিনিধি, পটিয়া :
উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের দুটি গ্রামীণ সড়ক পুকুরে বিলীন যাচ্ছে। বর্তমানে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকার লোকজন পায়ে হেঁটেও চলাচল করতে পারছে না। ফলে প্রতিদিনেই মানুষের দুর্ভোগ এই সড়ক দুটিতে। উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পন্ডিত বাড়ি সড়ক ও একই এলাকার আনসুর আলী সড়কের পুকুরে রিটার্নিং ওয়াল না থাকায় ভেঙে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময় গ্রামবাসী নিজেদের অর্থে সংস্কার করেছে। জনপ্রতিনিধিদের অবহেলার কারণে গ্রামীণ সড়ক দুটি এখন পুকুরে চলে গেছে। এলাকার শিশু থেকে শুরু করে লোকজন ঝুঁকির মধ্যে চলাচল করছে। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ও হুইপের হাইদগাঁও ইউনিয়নের উন্নয়ন সমন্বয়কারী বিজন চক্রবর্তীকে জানানো হয়েছে। রিটার্নিং ওয়ালের অভাবে পুকুরে বিলীন হয়ে যাওয়া সড়ক দুটি সংস্কারের জন্য কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় গ্রামবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নে রয়েছে পাহাড়। প্রতি বছর বর্ষা মওসুমে পাহাড়ি ঢলের পানি লোকালয়ে ঢুকার কারণে মানুষের ফসলি জমি, পুকুর ও গ্রামীণ সড়ক ডুবে থাকে।
৩ নম্বর ওয়ার্ডের পন্ডিত বাড়ি সড়ক ও আনসুর আলী বাড়ি সড়কটি এখন পুকুরে। এলাকার লোকজন ৩ মাস আগেও নিজেদের অর্থে পুকুরের পাশে বাঁশের বল্লী গেড়ে ঝুঁকি কিছুটা কমান। চলতি বর্ষা মওসুমে বৃষ্টির কারণে পায়ে হেঁটেও চলাচল সম্ভব হচ্ছে না। দুটি পুকুরে ১০০ ফুট করে রির্টার্নিং ওয়াল নির্মাণ করা হলে গ্রামীণ সড়ক দুটি রক্ষা করা সম্ভব হবে।
দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক মো. জাহিদ হাসানের বাড়ি ওই এলাকায়। রিটার্নিং ওয়ালের অভাবে গ্রামীণ সড়ক দুটি পুকুরে বিলীন হয়ে যাওয়ার বিষয়টি জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি ফোনে জানানো হয়েছে। তবে সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পূর্ব হাইদগাঁও যুক্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকশ ছাত্র প্রতিদিন সড়ক দুটি দিয়ে চলাচল করে থাকেন।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার আকতার হোসেন জানিয়েছেন, সড়ক দুটি গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। কোন বরাদ্দ না দেওয়ার কারণে সংস্কার করা যাচ্ছে না।