‘গত নির্বাচনের সময় বিএনপি তাদের ধানের শীষের ক্যাম্পেইন করতে দেখেছি, কিন্তু গত ৩ বছর ধরে তাদের আর দেখা যায়নি। এখন তারা এলাকায় আসার চেষ্টা করছে। বিএনপি জনপদে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে জনগণকে সাথে নিয়ে তাদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।’
গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের লিচুবাগানে আয়োজিত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, দলে মাদকাসক্তদের কোনো ঠাঁই হবে না, দলে যারা ইয়াবা ব্যবসার সাথে যুক্ত, যারা জায়গা দখলের সাথে যুক্ত, চাঁদাবাজির সাথে যুক্ত তাদের কোনো ঠাঁই হবে না। দলের নাম ব্যবহার করে কেউ যেনো অপকর্ম করতে না পারে সেই ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। নতুন কমিটিতেও তাদের জায়গা দেয়া যাবে না। যেই নেতৃত্বের কোন বদনাম কিংবা দুর্নাম নাই, তাদেরকেই দলে জায়গা দিতে হবে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. হারুন সওদাগরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. জালাল আহমদের সঞ্চালনায় সম্মেলনে উদ্বোধক ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদার, প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পৌর মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. আলী শাহ, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগর, সদস্য আকতার হোসেন খান, উত্তর জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের প্রাণ হচ্ছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা, তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগকে সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যেও টিকিয়ে রেখেছে। আওয়ামী লীগের ইতিহাস লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস, বাঙালির সমস্ত অর্জনের পেছনে জড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা সংগ্রাম করেছি, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে আমরা স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি। বাংলাদেশ সৃষ্টির পর বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনঃগঠিত করে দেশকে যখন সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। তাকে হত্যার পর বাংলাদেশকে দীর্ঘ ২১ বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দদের অনুরোধ জানাবো, আপনারা মানুষের ঘরে ঘরে যান, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের যে পরিবর্তনগুলো করেছে, সেই পরিবর্তনের কথাগুলো জনগণকে জানান।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাস্টার আসলাম খান, শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, আবু তাহের, আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, এমরুল করিম রাশেদ, শেখর বিশ্বাস, ইলিয়াছ কাঞ্চন চৌধুরী, আবু মনছুর, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু, সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুচ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন রিয়াজ, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাসেল রাসু প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি