সুপ্রভাত ডেস্ক »
পূর্ণ হল আরেকটি স্বপ্ন; সুড়ঙ্গপথে মিলন ঘটল কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ের; চট্টগ্রামবাসীর সঙ্গে ইতিহাসের সাক্ষী হল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম তীরে একটি ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধন করেন। খবর বিডিনিউজের।
উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের পর পরই আতশবাজি ফোটানো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন।
পতেঙ্গা প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
প্রধানমন্ত্রী টানেল উদ্বোধনের পর গাড়িতে চড়ে টানেল ধরে রওনা হন আনোয়ারা প্রান্তে। পেছনে অনেকগুলো বাসে ছিলেন তার সফরসঙ্গীরা।
টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে পৌঁছে প্রথম যাত্রী হিসেবে সেখানে টোল দেন সরকারপ্রধান। টোল কালেক্টর ঝুমুর আক্তার প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে টাকা নিয়ে রশিদ দিলে হাত তুলে তা দেখান শেখ হাসিনা।
শনিবার উদ্বোধন হলেও টানেলটি রোববার সকাল থেকে যান চলাচলের উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
এ টানেলের মাধ্যমে শিল্পঘেরা কর্ণফুলীর দুই পাড়ের মধ্যে যোগাযোগ সহজ হচ্ছে, সংযোগ হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের। তাতে গতি পাবে দেশের রপ্তানি বাণিজ্য।
কর্ণফুলী নদীর একপাড়ে বন্দর নগরী, অন্যপাড়ে আনোয়ারা উপজেলার শিল্প এলাকা। ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ গড়ার উচ্চাভিলাসী লক্ষ্য নিয়ে বানানো এই টানেলের মাধ্যমে এই দুই পাড় যুক্ত হচ্ছে। পথ খুলছে বিশ্বমানের যোগাযোগের।
চট্টগ্রাম বন্দর নগরীকে চীনের সাংহাই এর আদলে গড়ে তোলার যে উচ্চভিলাসী লক্ষ্য সরকারের ছিল, তার একটি বড় পদক্ষেপের বাস্তবায়ন হল নদী তলদেশে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে এক বাণীতে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর নিচে প্রথম সড়ক টানেল। দেশপ্রেমিক জনগণের আস্থা ও অকুণ্ঠ সমর্থনের ফলেই আজকে উন্নয়নের এ নতুন অধ্যায় উন্মোচিত হয়েছে।
‘আগামী দিনেও গণমানুষের আশা-আকাক্সক্ষা ও স্বপ্ন পূরণে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাব।’