সুুপ্রভাত ডেস্ক »
মধ্যপ্রাচ্যের দুবাইতে বাংলাদেশের পাঁচজন শিল্পীর শিল্পকর্ম প্রদর্শনী চলছে। ‘ট্রেসিং ডিসপ্লেসমেন্ট’ শীর্ষক এই যৌথ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ আর্ট উইক। আমন্ত্রিত তরুণ শিল্পীদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিমান এবং প্রতিষ্ঠিত শিল্পীরাও যুক্ত রয়েছেন প্রদর্শনীতে। গত ১৮ নভেম্বর বায়ত আল মামজারের গ্যালারি এবং লাইব্রেরি রুমে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। এতে অতিথি ছিলেন অ্যালায়েন্স ফ্রাঞ্চাইসের পরিচালক সেড নওরিন।
আয়োজকরা জানান, যুদ্ধ, দারিদ্র্য এবং পরিবেশগত কারণে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি থেকে উদ্ভূত জটিল এবং চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিকে তুলে ধরার প্রয়াস ‘ট্রেসিং ডিসপ্লেসমেন্ট’।
প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের পাঁচ শিল্পীর ভাস্কর্য, ফটোগ্রাফি, মিশ্র মিডিয়া কন্সট্রাক, অগমেন্টেড রিয়েলিটি, কাগজ ও কাপড়ের কাজ এবং ফিল্ম প্রেজেন্টেশন রয়েছে। নীহারিকা মমতাজের তত্ত্বাবধায়নে আয়োজিত ‘ট্রেসিং ডিসপ্লেসমেন্ট’ শীর্ষক যৌথ প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের মাহবুবুর রহমান, শামসুল আলম হেলাল, সালাউদ্দিন আহমেদ পলাশ, দিনার সুলতানা পুতুল ও মোজাহিদ মুসার শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ আর্ট উইকের ক্রিয়েটিভ রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম ‘কনেকশন’র অধীনে মোজাহিদ মুসার ‘অ্যাসিমিলেটেড মিউজিং’ প্রদর্শিত হচ্ছে।
বায়ত আল মামজারের প্রতিষ্ঠাতা গাইথ আবদুল্লাহ বলেন, ‘ট্রেসিং ডিসপ্লেসমেন্ট’ প্রদর্শনীটি একটি সময়োপযোগী অনুস্মারক। আমরা মানবতার এই সম্মিলিত ব্যর্থতাগুলোকে প্রতিফলিত করার এই সুযোগকে স্বাগত জানাই। সংকটময় সময়ে এই জাতীয় বিষয়গুলো আলোকপাত করা বিশেষভাবে মর্মান্তিক। গাজার জনগণ যেহেতু চলমান ঐতিহাসিক আক্রমণের মুখোমুখি হচ্ছে; সমাজ, সম্প্রদায় এবং সংস্কৃতি হিসেবে আমাদের অবশ্যই ট্র্যাজেডির সাক্ষ্য দেওয়ার অর্থ কী? তা বিবেচনা করতে হবে।
বাংলাদেশ আর্ট উইক’র প্রতিষ্ঠাতা নীহারিকা মমতাজ বলেন, ট্রেসিং ডিসপ্লেসমেন্ট এমন নিবেশ তৈরির আশা করে; যা ধারণাকে অনুপ্রাণিত করবে। মানুষের গল্পকে আলোচনার কেন্দ্রে রাখবে। যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং দারিদ্র্যের কারণে ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হওয়া লক্ষাধিক মানুষের স্বতন্ত্র গল্প বলবে। গল্পগুলো বহিরাক্রমণ এবং স্থানচ্যুতির উত্তরাধিকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।
বাংলাদেশ আর্ট উইক প্রতিষ্ঠাতা নীহারিকা মমতাজ এবং সহ প্রতিষ্ঠাতা পিএইচপি ফ্যামিলির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন সকল কার্যক্রমে সহায়তা করেন।
নীহারিকা মমতাজ জানান, বাংলাদেশ আর্ট উইক, বাংলাদেশের আর্ট ইন্ডাস্ট্রির ‘ভয়েস’ হিসেবে, উদীয়মান এবং প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে তাদের শিল্পকর্ম প্রদর্শনের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দেয়। বাংলাদেশ আর্ট উইক পারস্পরিক আলাপ, নির্দেশনা এবং এক্সপোজারের মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান প্রাণবন্ত বাংলাদেশের ভিজ্যুয়াল আর্ট শিল্পকে উন্নত করে শিল্প জগতের সাথে অনন্য সংযোগ প্রদান করে।
বায়ত আল মামজার হল দুবাইয়ের একটি স্বাধীন শিল্প স্থান যা স্থানীয় সমসাময়িক সৃজনশীল সম্প্রদায়ের প্রয়োজনের প্রতিক্রিয়া হিসাবে প্রতিষ্ঠিত। উদ্ভাবনী, পরীক্ষামূলক এবং সহযোগিতামূলক পদ্ধতিকে স্বাগত জানায়। গঠনমূলক আলোচনা এবং মতামতের অবাধ আদান-প্রদানে বিশ্বাসের দ্বারা অনুপ্রাণিত। সেখানে বর্তমানে আর্টিস্ট স্টুডিও, রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম, প্রদর্শনী, পাবলিক প্রোগ্রাম হল ও একটি লাইব্রেরি রয়েছে।