সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
সাকিব দুই উইকেট তুলে শ্রীলঙ্কাকে বিপদে ঠিকই ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু লিটন দাসের দুটি ক্যাচ মিসে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ১৭২ রানের লক্ষ্যে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ১৬ ওভারে ৪ উইকেটে ১৪৮ রান।
সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে তাসকিনের বদলে সুযোগ পাওয়া নাসুমের ঘূর্ণিতে চতুর্থ বলেই পরাস্ত হন পেরেরা। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন এক রানে। এর পর অবশ্য চারিথ আসালাঙ্কার আগ্রাসী ব্যাটিং স্বস্তি ফেরায় লঙ্কান শিবিরে। সঙ্গী হন পাথুম নিসাঙ্কাও! দুজনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতেই তারা তুলে ফেলে ৫৪ রান। আসালাঙ্কা ১৮ বলে তুলেন ৩২ রান। নিসাঙ্কা ১৫ বলে করেন ১৯।
নবম ওভারে সাকিব বল করতে এসেই সাজঘরে পাঠান নিসাঙ্কাকে। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন তিনি। ফেরেন ২৪ রানে। দুই বল বিরতি দিয়ে বোল্ড করেন নতুন নামা আভিষ্কা ফার্নান্ডোকেও!
চাপে পড়ে যাওয়া লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ে প্রাণ ফেরাতে তার পর নেমেছিলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। আক্রমণাত্মক এই ব্যাটারকে হাতই খুলতে দেননি সাইফউদ্দিন। এই ব্যাটার ৬ রানে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন। তার পরেও একপ্রান্ত আগলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখেন আসালাঙ্কা। হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। ব্যাট করছেন ৬৪ রানে। সঙ্গী ভানুকা রাজাপাকশেও কম যান না। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ছন্দ ধরে রাখেন। অথচ এই ব্যাটারকেই ১২.৪ ওভারে ফেরানোর সুযোগ ছিল। আফিফের বলে রাজাপাকশের ক্যাচ ফেলে দেন লিটন। ক্যাচ মিস হওয়ায় সেটি আবার চারও হয়ে যায়! ১৪.৩ তম ওভারে আবারও একই ভুল করেন লিটন। এবার ক্যাচ ফেলে দেন আসালাঙ্কার!
এর আগে টস হেরে ৪ উইকেটে ১৭১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে দারুণ এক ইনিংস খেলেন নাঈম শেখ। মিডল অর্ডারে আলো ছড়ান মুশফিকুর রহিম। এই দুই ব্যাটারের হাফসেঞ্চুরিতেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। ৩২ বলে ফিফটি পেয়েছেন মুশফিক, আর নাঈম মাইলফলকটি স্পর্শ করেন ৪৪ বলে।
তার পরেও শুরুটা মন্দ ছিল না। লিটন দাস ও নাঈম মিলে উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৪০ রান। তবে লিটনের (১৬) পর সাকিব আল হাসান (১০) দ্রুত ফিরে গেলে চাপ তৈরি হয়েছিল। এরপরই প্রতিরোধ গড়ে খেলেন নাঈম-মুশফিক। দারুণ ব্যাটিংয়ে নিজের সঙ্গে দলের রান বাড়িয়ে নেন তারা।
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি পূরণ করে নাঈম ৫২ বলে ৬ বাউন্ডারিতে করেন ৬২ রান। আর দীর্ঘদিন পর টি-টোয়েন্টিতে ফর্মে ফিরে মুশফিক ৩৭ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৫৭ রানে। তার সঙ্গে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। করেন ১০ রান।
শ্রীলঙ্কার তিন বোলার- চামিকা করুণারত্নে, বিনুরা ফার্নান্ডো ও লাহিরু কুমারা প্রত্যেকে নিয়েছেন একটি করে উইকেট।