প্রধান তিন আসামিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে র্যাবের তদন্তদল
নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার
চাঞ্চল্যকর মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার প্রধান তিন আসামিকে নিয়ে ঘটনাস্হল কক্সবাজারের টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সেই চেকপোস্টে গেছে র্যাবের একটি দল।
শুক্রবার (২১ আগষ্ট) দুপুর ১টার পরে র্যাব-১৫ কার্যালয় থেকে কড়া নিরাপত্তায় কক্সবাজার-টেকনাফ পুরাতন মহাসড়ক দিয়ে তাদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে একে একে দুই ঘন্টা তিন আসামির কাছে সেদিনের ঘটনার বর্ণনা শুনেন র্যাবের তদন্ত দল।
এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক সারোয়ার বিন কাশেম, র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ, র্যাব-১৫’র অধিনায়ক আজিম আহমেদ, উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাবের সিনিয়র এএসপি খায়রুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
স্থানীয় ও র্যাব সূত্র জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুর ১টার পর তদন্ত কাজের অংশ হিসেবে মামলার আসামি টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়ার শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিতকে ঘটনাস্থলে নেয়া হয়। এসময় একে একে তিন আসামির মুখে সেদিনের ঘটনার বর্ণনা শুনেন। পরে বিকেল ৩টার দিকে তাদের নিয়ে ফিরে যায় ব্যাবের তদন্ত দল।
একইদিন এর আগে দুপুর ১টার পরে ঘটনাস্থল ঘুরে টেকনাফ শামলাপুর চেকপোস্টে গণমাধ্যমকর্মীদের র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার বলেন, ‘মেজর সিনহাকে গুলিবর্ষণের পুরো ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে এক থেকে দুই মিনিটের মধ্যেই। এই দুই মিনিটের প্রতিটি সেকেন্ডের ঘটনা প্রবাহ আমরা বিচার-বিশ্লেষণ করছি। প্রতিটি সেকেন্ডই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই ঘটনার অনেক তথ্য-উপাত্ত আমরা সংগ্রহ করেছি।’
কী তথ্য পেয়েছেন?, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ মামলা। তদন্তকারী কর্মকর্তা তার তদন্তকাজের অংশ হিসেবে আসামিদের নিয়ে ঘটনাস্থলে আসছেন। এটি তদন্তকাজেরই অংশ। এই মুহূর্তে এটা বলা সমীচীন হবে না। এতে তদন্তকাজ ব্যাহত হতে পারে। তদন্তকাজটি এমনভাবে সম্পন্ন করা হবে, যাতে এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোনো দোষী ব্যক্তি রক্ষা না পায় এবং কোনো নিরীহ লোক কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন (অব.) সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় নিহতের বোন শাহরিয়ার শারমিন ফেরদৌস বাদি হয়ে গত ৫ আগস্ট টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরির্দশক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয়েছে র্যাবকে।