শিশু আয়াত খুন
সুপ্রভাত ডেস্ক
চট্টগ্রামে ‘খুন হওয়া’ শিশু আয়াতের লাশের খণ্ডিত অংশের সন্ধানে দিনভর অভিযান চালিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গতকাল রোববার দিনভর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েও কোনো অংশ মেলেনি; হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কাটারটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর বিশেষ পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার আবীরকে নিয়ে রোববার আকমল রোড পকেট বাজারে তার বাসার আশেপাশের বিভিন্ন স্থানে ও আউটার রিং রোডের সমুদ্র এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
‘সকালে আকমল আলী রোডের পকেট বাজার এলাকার তার মায়ের বাসায় তল্লাশি চালিয়ে খাটের নিচ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কাটারটি জব্দ করা হয়েছে।’
বিশেষ পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানার নেতেৃত্বে সংস্থাটির কয়েকজন পরিদর্শক ‘বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট ও মুখে মাস্ক লাগিয়ে আবীরকে’ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে লাশের খণ্ডিত অংশের খোঁজ করেন।
পিবিআই পরিদর্শক ইলিয়াস খান জানান, আবীর যেসব স্থান দিয়ে সমুদ্র এলাকায় গিয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সব এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। পকেট বাজার এলাকায় যে স্থানে শিশু আয়াতের পোশাক ফেলা হয়েছে সেসব স্থানে পুনরায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। এছাড়াও সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায়ও খণ্ডিত অংশের প্যাকেটগুলো খুঁজতে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
এদিকে বিভিন্ন স্থানের সিসি ক্যামেরার ভিডিও সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
১৪ নভেম্বর পাঁচ বছরের শিশু আলিনা ইসলাম আয়াত নিখোঁজ হওয়ার পর ইপিজেড থানায় জিডি করে তার পরিবার। সন্ধান চেয়ে পোস্টার ও প্রচারপত্রও বিলি করা হয়। তার দাদা পিবিআইয়ের কাছে আবেদন করেন নাতনির সন্ধান চেয়ে। পরে পিবিআই তদন্তে নেমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবীরকে আটক করে।
শুক্রবার পিবিআই জানিয়েছিল, ‘মুক্তিপণের’ জন্যই আয়াতকে অপহরণ করে খুন করেছে তাদের ভাড়াটিয়ার ১৯ বছরের ছেলে আবীর আলী। শিশুটিকে ছয় টুকরা করে সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে সে। ওই দিন তাকে নিয়ে পিবিআই সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটি, আয়াতের জুতা উদ্ধার করে।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুক্রবার রাতে আয়াতের বাবা নগরীর ইপিজেড থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এর তদন্ত করছে পিবিআই। এদিকে শনিবার আবীরের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।