দশ-মাইল মুক্তিযোদ্ধা পশুর হাটে বেচাকেনা জমজমাট

মিন্টু কান্তি নাথ, রাজস্থলী

চট্রগ্রাম জেলার দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া দশ মাইল মুক্তিযুদ্ধ পশুর হাটে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় হাটগুলোতে বেড়েছে ক্রেতাদের বিড়।বিরামহীনভাবে চলছে কেনাবেচাও।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল দশটা থেকে চট্রগ্রাম দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া দশ-মাইল মুক্তিযোদ্ধা বাজারটি মানুষের অনেক সু-পরিচিত।

দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা রাজস্থলী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বেপারী ও খামারীরা গরু নিয়ে আজকের এই বাজারে এসেছেন।

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার হতে কোরবানির গরু ক্রয় করতে আসা আবু সাইদ, মো.জসিম এবং রাইহান উদ্দিন এর সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা পাহাড়ি গরু ক্রয় করতে আসছে। প্রশ্ন করা হল পাহাড়ি গরু কেন?এক কথায় উত্তর দিল পাহাড় গরু পাহাড়ে থেকে লতা,পাতা, ঘাসসহ ন্যাচারেল খাবার খায়। ফলে তাদের চর্বি কম থাকে। কম চর্বিযুক্ত গরু ভালো হয়।  এ সকল গরুর শরীরে কোন ধরনের মোটাতাজাকরণ ইনজেকশন দেয়া হয়না। এক কথায় পাহাড়ি গরু সেরা।

আবার অনেকে হাটে এসেছেন পড়ন্ত বিকালে। ঘুরে দেখছেন হাট। পছন্দ হলে দরদাম করছেন,দরদামে বনিবনা হয়ে গেলে কিনে নিচ্ছেন পছন্দের পশু। এই হাটে কোথাও কোথাও দেখা মিলছে নানা জাতের গরু ছাড়াও খাসি ,ছাগল। তবে প্রতিবারের মতো এবারও মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদা রয়েছে বেশী। আর বড় গরুর চাহিদা কম থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বিক্রেতারা।

ব্যাপারী ও খামারিরা বলছেন, হাটে মাঝারি ও ছোট আকারের গরুর চাহিদা বেশি। তবে বড় গরু দরদাম হলে বিক্রি হচ্ছে কম। ফলে এসব গরুর বেশিরভাগ ফেরত নিয়ে যেতে হবে। মো. শরিফুল নামে এক গরু বিক্রেতা বলেন, ৫০ হাজার, ১ লাখ, ২ লাখ টাকা মূল্যের ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। দাম বেশি হাঁকায় চাহিদা কম বড়ো আকারের গরু-ছাগলসহ অন্যান্য প্রজাতির পশুর।

এখন পর্যন্ত পশুর হাট স্থিতিশীল রয়েছে। পশুর দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

দশ-মাইল পশুর হাট বাজার কমিটির সদস্য মো. ফজল করিম বলেন, আমরা এই বাজারের নিরাপত্তার স্বার্থে বাজারে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছি,টাকা যাচাই-বাছাইয়ের এর জন্য মেসিন রাখা হয়েছে।  আমাদেরকে প্রশাসনিকভাবে সার্বিক সহযোগিতা করছেন দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানা এবং উপজেলা প্রশাসন।