নিজস্ব প্রতিবেদক »
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ড উপ-নির্বাচনে বৈধ মনোনয়ন পেলেও পাচ্ছে না দলীয় সমর্থন অথবা মনোনয়ন। তবে ২৪ জন বৈধ মনোনীতদের মধ্যে একজন বিএনপি প্রার্থী ছাড়া বাকি সবাই আওয়ামী ঘরনার প্রার্থী।
নগর আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, চসিক নির্বাচনে প্রতিটি ওয়ার্ডে দেওয়া হয়েছে দলীয় সমর্থন। কিন্তু এই উপ-নির্বাচনে এমন কোন সিদ্ধান্তের বিষয়ে কারোর জানা নেই। তবে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য রয়েছে কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড। এই বোর্ড থেকে এখন পর্যন্ত কোন ধরনের সিদ্ধান্ত আসেনি।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হয় না। মেয়রের জন্য দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলেও কাউন্সিলরের জন্য সাধারণ প্রতীকে নির্বাচন হয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে দল থেকে কোন মনোনয়ন দেওয়া হয় না। দল থেকে মনোনয়ন বাধ্যতামূলকও নয়। নির্বাচনী শর্ত মেনে যে কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে। বিভিন্ন সময়ে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাউকে মনোনীত করা হয়ে থাকে।
নির্বাচনী এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, বৈধ মনোনীত প্রার্থীরা বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত থাকার পরও কারোর বিশেষ সম্ভাবনা বুঝা যাচ্ছে না। আবার প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়াতে অনেকে প্রার্থী চিনতে হিমসিম খাচ্ছে বলে জানিয়েছেন। তবে ১৯ সেপ্টেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারে শেষ সময় হওয়াতে কারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করছে বা কারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন তা এখনো অনিশ্চিত। তবে এ ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর মরহুম গোলাম হায়দার মিন্টু ছিলেন অপ্রতিরোধ্য প্রার্থী। এলাকাবাসী নতুন মিন্টুর খোঁজে রয়েছেন। যার কারণে তার সহধর্মিণীর কথা ভাবছেন অনেকে।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন সুপ্রভাতকে বলেন, ‘দলের মনোনয়নের জন্য কেন্দ্রীয় নির্বাচন বোর্ড রয়েছে। বোর্ড থেকে যদি এমন কোন প্রস্তাবনা আসে তাহলে অবশ্যই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে। তবে এমন কোন প্রস্তাবনা আসবে কিনা তা এখন বলা যাচ্ছে না।’
উল্লেখ্য, ১৪ সেপ্টেম্বর ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ২৪ জনকে বৈধ মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এতে রয়েছেন সাবেক কাউন্সিলরের সহধর্মিণী।