‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কোভিড-১৯ সংক্রমণের তীব্রতার মধ্যেও জীবন-জীবিকার চাকা সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সংক্রমণের দ্রুত অবনতিশীল পরিস্থিতিতে কঠোর লকডাউন প্রলম্বিত করা ছাড়া কোন উপায় ছিল না। এই অবস্থায় সাধারণ কর্মজীবী ও নি¤œ আয়ের মানুষের দুর্ভোগ ও কষ্ট বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দারিদ্র বিমোচনের যে ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছিলেন, করোনার ছোবলে তার অগ্রযাত্রা আপাতত স্তিমিত হলেও সুন্দর ভবিষ্যত সাফল্য অপেক্ষমাণ। তার আগে করোনা যুদ্ধে বিজয়ী হতে হবে। এ জন্য সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলা এবং নিজের ও অন্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।’
শুক্রবার রাতে নগর আওয়ামী লীগের ৪৩ সাংগঠনিক ওয়ার্ড আমিন জুট মিল শিল্প এলাকায় কর্মচ্যুত ও গরীব জনসাধারণের মাঝে সেহেরি বিতরণকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এবার পবিত্র রমজান মাসে নামাজ-রোজা-এবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আত্মশুদ্ধির পাশাপাশি মানবিক কর্তব্য পালনের দায় বর্তেছে। করোনা ছোবলে দারিদ্র ও প্রান্তিক দরিদ্র শ্রেণীর দু’কোটি দরিদ্র মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে আপাতত ১০ কোটি টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যদিও তা যথেষ্ট নয়, যে-কোন সংকট মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি সামর্থ্যসম্পন্ন বিত্তবানদের ভূমিকা থাকে। তাই এই দায়িত্ব পালনে তিনি বিত্তবান শ্রেণীকে দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, লকডাউন সময়ের মধ্যেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন জরুরি সেবা ও জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যা নিরসনে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি একই সাথে অন্যান্য সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-সরকারি সংস্থাগুলোর জরুরি সেবা কার্যক্রম চলমান রাখার আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ৪৩ নম্বর সাংগঠনিক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর সভাপতি দলিলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক, সহ-সভাপতি রুহুল আমিন, মুসলিম উদ্দীন, ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মেদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর