থার্টি ফার্স্ট নাইটের নিরাপত্তায় সিএমপির ১৩ নির্দেশনা

সুপ্রভাত ডেস্ক »

ইংরেজি বর্ষবরণে ‘থার্টি ফার্স্টের’ রাতে উন্মুক্ত স্থানে সমাবেশ, নাচ-গান, আতশবাজি-পটকা ফোটানো, ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধসহ ১৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। একইসঙ্গে নগরবাসীকে ‘গ্রহণযোগ্য’ শালীনতা বজায় রাখার পাশাপাশি নৈতিক মূল্যবোধ পরিপন্থি কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বলেছে নগর পুলিশ।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে সিএমপির জনসংযোগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনার কথা বলা হয়েছে।

নির্দেশনার মধ্যে আছে, রাস্তা, ফ্লাইওভার, ভবনের ছাদ এবং প্রকাশ্য স্থানে কোনো ধরনের জমায়েত, সমাবেশ ও উৎসব না করা এবং উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান, সমাবেশ বা নাচ-গান অথবা অন্য কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান না করা। কোথাও কোনো ধরনের আতশবাজি বা পটকা ফোটানো এবং ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধের কথা বলা হয়েছে।

চট্টগ্রামের পর্যটন স্পট পতেঙ্গা ও পারকি সমুদ্র সৈকতে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত অবস্থান করা যাবে না। একইদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা নগরীর সকল অনুমোদিত বার ও মদের দোকান বন্ধ থাকবে।

উচ্চস্বরে গাড়ির হর্ন বাজানো এবং বেপরোয়া গতিতে গাড়ি-মোটরবাইক না চালানোর নির্দেশনাও দিয়েছে সিএমপি। মাদক সেবন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কাউকে পেলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

আনন্দ উদযাপনে নিষেধ না করলেও এক্ষেত্রে প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থা ও সংস্কৃতির প্রতি লক্ষ্য রেখে ‘প্রত্যাশিত ও গ্রহণযোগ্য’ শালীনতা বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে। সকল অনুষ্ঠানে নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখতে হবে ও নারীদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। নৈতিক মূল্যবোধ পরিপন্থি কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে। অশোভন আচরণ ও বেআইনি কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে হবে।

হোটেলগুলোকে ডিজে পার্টির নামে কোনো জায়গা ভাড়া দিতে নিষেধ করা হয়েছে। জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয় এমন যে কোনো ধরনের কর্মকাণ্ড পরিহার করতে বলেছে সিএমপি।

একই বিজ্ঞপ্তিতে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে কর্ণফুলী টানেল এলাকা ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বেপরোয়া গতিতে যানবাহন না চালানো এবং উচ্চস্বরে হর্ন না বাজানোর অনুরোধ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে নগরীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশের পক্ষ থেকে চেকপোস্ট স্থাপন করা হবে। গির্জা, হোটেল, ক্লাব, বিনোদন কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। টহল পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা টিমও দায়িত্ব পালন করবে।

এ ছাড়া সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে সিএমপি। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফোন নম্বর: ০৩১-৬৩৯০২২, ০৩১-৬৩০৩৫২, ০৩১-৬৩০৩৭৫, ০১৬৭৬-১২৩৪৫৬, ০১৩২০-০৫৭৯৯৮।

এরপরও যে কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে নাগরিকদের জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ট্রিপল নাইনে (৯৯৯) কল দিয়ে পুলিশের সেবা নিতে বলা হয়েছে।