এস এম আলমগীরের শোকসভা
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, দল এক যুগেরও সময়ের কাছাকাছি ক্ষমতায় থাকায় অনেক সুযোগ সন্ধানী বহিরাগত ঢুকে পড়ায় পরীক্ষিত, ত্যাগী ও দুঃসময়ের নেতাকর্মী কোনঠাসা হয়ে যাচ্ছেন। এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। কারণ এরাই দলের মূল সম্পদ। যারা কখনো আদর্শচ্যূত হতে পারেন না। আমরা তাদেরকে অবশ্যই মূল্যায়ন করতে চাই।
তিনি গতকাল ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এস এম আলমগীরের শোকসভায় একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, এস আলমগীর সংগঠনের দুঃসময়ের কা-ারি ছিলেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নগর, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের অনেক কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। কোন কোন কমিটির মেয়াদ ১০/১২ বছর আগেই শেষ হয়ে গেছে। এর ফলে পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের পদায়ন হচ্ছে না। তাই তাদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, পরনিন্দা, পরচর্চা ও সমালোচনা কিছুতেই শোভনীয় নয় বরং আত্মঘাতী। তাই সবচাইতে বেশি প্রয়োজন আত্মসমালোচনা করা। এতে নিজে শুদ্ধ হওয়া যায় এবং দলের ভাবমূর্তিকেও উজ্জ্বল করা যায়। তিনি আরো বলেন, করোনাকালের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। একে সামাল দিতে প্রত্যেক স্তরের নেতাকর্মীদের নিজেদের সুরক্ষা করে ও অন্যদেরও সুরক্ষা করার জন্য প্রাণিত করতে হবে।
৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই শোকসভায় সভাপতিত্ব করেন কাজী আলতাফ হোসেন। জহুরুল আলম জসিম ও এরশাদ মামুন যৌথ সঞ্চালনায় গতকাল সকালে ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিস সম্মুখ চত্বরে অনুষ্ঠিত শোকসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ। বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য হাজী বেলাল আহমেদ, মোরশেদ আক্তার চৌধুরী, সুলতান আহমেদ চৌধুরী, নিয়াজ আহমেদ, মোজাফফর আহমেদ মাসুম, মোহাম্মদ জাহিদ, ফয়েজ আহমেদ, ইকবাল চৌধুরী, ওহিদুল আমিন, মুজিবুর রহমান শরীফ, ইলিয়াস খান, মোহাম্মদ লোটাস, জিয়াউদ্দীন রুবেল, আবুল হাসনাত সৈকত, আবু সুফিয়ান, বেলাল উদ্দীন জুয়েল, আনোয়ারুল আজিম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি