বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় উইম্যান চেম্বারের প্রেসিডেন্ট
‘বৈশ^য়িক মহামারীর এই কঠিন সময়ে প্রস্তাবিত বাজেট অত্যন্ত সাহসী এবং সময়োপযোগী।’
চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এর প্রেসিডেন্ট মনোয়ারা হাকিম আলী গতকাল জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল কর্তৃক ঘোষিত দেশের ৫০তম প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকে স্বাগত জানিয়ে ঘোষিত বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মহামারী মোকাবেলায় ও স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ আরো বৃদ্ধি করার প্রয়োজন ছিল তবে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রাম জেলার বাইরের জেলাসমূহে শিশু ও নবজাতক, নারী ও মাতৃস্বাস্থ্য, অনকোলজি, ওয়েল্ডিং ও প্রিভেনটিভ মেডিসিন ইউনিট থাকা সাপেক্ষে ২৫০ শয্যার সাধারণ হাসপাতাল এবং ২০০ শষ্যার বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপনে ১০ বছর পর্যন্ত কর অব্যহতির প্রস্তাব দেশের স্বাস্থ্য-খাতকে তৃণমূল পর্যায়ে পুনর্গঠন করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
মনোয়ারা হাকিম আলী বলেন, শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি মহামারীতে ভেঙ্গে পড়া শিক্ষা-খাতকে পুনরুজ্জ্বীবিত করবে। কৃষি-পল্লী উন্নয়ন এবং কৃষিখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির ফলে মহামারীর এই দুঃসময়ে দেশের খাদ্য-নিরাপত্তার ঝুঁকি কমবে। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা খাত, যোগাযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির ফলে সাধারণ জনগনের জীবন-মানের উন্নয়ন ঘটবে এবং মানুষের জীবন থেকে অনিশ্চয়তা লাঘব হবে। মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশের বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দক্ষতার উন্নয়ন ঘটবে। বাজেটে চাল, ডাল, চিনি, লবন, গরুর দুধ, হ্যান্ড স্যানেটাইজার, পাট ও তাঁত পণ্য, বোতলজাত পানি ইত্যাদির মূল্য কমানোর প্রস্তাব সাধারন মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের নিশ্চয়তায় এক ধাপ এগিয়ে যাবে। বিড়ি-সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি দেশের সাধারণ জনগণকে ধূমপান থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত করবে। প্লাস্টিক পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির ফলে সাধারণ জনগণের উপর কিছুটা চাপ বাড়বে। বিশেষ করে প্রস্তাবিত বাজেটে ২ লাখ ২৪ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি বাজেট বাস্তবায়নকে হুমকির মুখে ফেলবে।
তিনি বলেন, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে বাজেটে নানামুখী প্রস্তাবনাসমূহের সঠিক বাস্তবায়ন হলে, দেশের নারীর অগ্রযাত্রায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে এবং মহামারী করোনায় সব-চাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত নারী উদ্যোক্তারা পুনরুজ্জ্বীবিত হবে। নারী উদ্যোক্তাদের বার্ষিক টার্নওভার ৫০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০ লাখ টাকা করা, সিএমএসএমই খাতে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ প্রাপ্তি নিশ্চিত করা-বাজেটের ইতিবাচক দিক। দরিদ্র নারীদের ক্ষুদ্র বীমার আওতায় আনার প্রস্তাব তৃণমূল পর্যায়ে নারীদের ক্ষমতায়নে সহায়ক হবে।
তিনি আরও বলেন, বাজেটে আদিবাসী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের জীবন-মান উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্র শিল্পে তাদের চলমান অংশগ্রহণ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আলাদাভাবে প্রকল্প গ্রহণের প্রস্তাব করছি। যার ফলে তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি কৃষ্টি ও ঐহিত্য ধরে রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। বিজ্ঞপ্তি