স্পট: জহুর হর্কাস মার্কেট
নিজস্ব প্রতিবেদক
বহুল প্রতীক্ষিত ঈদ কড়া নাড়ছে দরজায়। আর মাত্র কটা দিন। এ সময় কাপড়ের দোকানে বেচাকেনা বাড়ার আশা করেন ক্রেতারা। কিন্তু তীব্র তাপদাহ সেই আশাকে নিরাশায় পরিণত করেছে। তীব্র গরমের কারণে বিক্রিতে ভাটা পড়েছে। ইফতারের পর কিছুটা ক্রেতা সমাগম বাড়লেও গত বছরের তুলনায় তাও প্রায় অর্ধেক বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা। নগরীর হকার্স মার্কেটের চিত্র এটি।
গতকাল নগরীর জহুর হর্কাস মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, তীব্র গরমে নাজেহাল বিক্রেতারা। মিলছেনা ক্রেতার দেখা। প্রায় সব দোকানেই একই অবস্থা। জহুর হর্কাস মার্কেটে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিন্মবিত্ত ক্রেতারাই বেশি আসেন। তবে পুরুষদের জামা কাপড়ই এখানে বিশেষত পাওয়া যায়। সেসব জামা কাপড়ের দাম গত বছরের তুলনায় প্রতি পিস ১’শ থেকে ২’শ টাকা বেশি হলেও অন্যান্য মার্কেটের তুলনায় কম। যেমন বাচ্চাদের কাবুলির দাম থাকছে ৬’শ টাকার মধ্যে, শার্ট প্রতি ৩’শ থেকে ৭’শ টাকা, দেশীয় প্যান্ট ১হাজার থেকে ২হাজার টাকা, গার্মেন্টস আইটেম ৬’শ থেকে ৮’শ টাকা, টি-শার্ট ২’শ থেকে ৪’শ টাকার মধ্যে। তবে এই মার্কেটেও ক্রেতার আশানুরূপ সাড়া মিলছেনা।
হকার্স মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা মনোয়ারা বেগম নামে এক মহিলা জানান, ‘ গরমে বের হতে চাইনি। এ অবস্থায় ঘুরে ঘুরে জামা কাপড় কেনা কষ্টের। কিন্তু বাচ্চারা তো কথা শুনতে চায় না। গত কয়েকদিন থেকেই তারা কান্নাকাটি করছে। তাই বাধ্য হয়েই এলাম। এখানে জামা কাপড়ের দাম বাড়তি। পছন্দ হলেও দেখা যাচ্ছে দামে মিলছেনা।’
ঋতু টেইলার্সের দোকানি মুহুরী রায় বলেন, ‘আসলে বিক্রি হয় ইফতারের পর, যে হারে গরম পড়ছে, কাস্টমার আসছে না। ইফতারের পর থেকে রাত ২টা পর্যন্ত চলে কেনাকাটা। তবে সব মিলিয়ে গত বছরের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম বিক্রি হচ্ছে। সকাল থেকে সারাদিনে যে বিক্রিটা হতো ওটাও হচ্ছেনা। ইফতারের পর পরই শুরু হয় কেনাকাটা।’
রোজ ফ্যাশনের বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘কাস্টমার নাই। হতে পারে কাস্টমারের টাকা পয়সার সমস্যা। সেই সাথে গরমের তীব্রতাটা বেশি। এই সময় যে পরিমাণ কাস্টমার প্রতি বছর থাকে; কথাই বলা যায় না। অথচ এখন ওভাবে ক্রেতার সাড়া মিলছেনা। গত বছর দিনে লাখের কাছাকাছি বিক্রি ছিলো, এখন বহুকষ্টে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা বিক্রি হয়। ’
আসিফ টেইলার্সের ঝুন্টু বড়ুয়া বলেন,‘ আমাদের সেল খাতা আছে। আপনি দেখেন। গত বছরের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ কম বিক্রি হয়েছে এবার। কিছুদিন আগেও দিনের বেলা যে বিক্রিটা হতো গরমের কারণে সেটাও থেমে গেছে।’