‘তিনধাপে চেক করা হচ্ছে, কালি মুছে গেলেও জাল ভোটের সুযোগ নেই’

সুপ্রভাত ডেস্ক »

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভোট প্রদানের পর আঙুলের কালি মুছে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে এতে কোনো সমস্যা দেখছে না কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ৫ কেন্দ্রে চলছে চাকসুর ভোটগ্রহণ। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দ্রোহ পর্ষদ, ১২টায় ছাত্রদল এবং সাড়ে ১২টার দিকে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের পক্ষ থেকেও একই অভিযোগ দেওয়া হয়।
ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় বলেন, নির্বাচন কমিশন বারবার অমোচনীয় কালি ব্যবহারের কথা বললেও বাস্তবে তা মানা হয়নি। প্রশাসন ইতিমধ্যে তাদের দায় স্বীকার করেছে। এটা ভোটের স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

এদিকে ভোট দিয়ে বের হওয়া মেরিন সাইন্স ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ওমর হাসনাত ছিদ্দিক তন্ময়  বলেন, আমি বিজ্ঞান অনুষদ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছি। ভোট খুব সুন্দরভাবে চলছে।

কালি মুছে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার হাতে যে কালি দেওয়া হয়েছে, সেটাও উঠে গেছে। তবে আমি মনে করি, এতে কোনো সমস্যা নেই। কারণ ভোটার তালিকায় ভোটারের ছবি দেখে ক্রসচেক করা হচ্ছে। পাশাপাশি স্বাক্ষরও নেওয়া হচ্ছে। তাই যে একবার ভোট দিচ্ছে, তার দ্বিতীয়বার ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। শেষপর্যন্ত এভাবে চললে আশা করছি সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশন অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, ‘অভিযোগটি আমাদের কাছে এসেছে। তবে আমরা বাংলাদেশে এর চেয়ে ভালো কালি পাইনি। এরচেয়ে ভালো কালি দিতে হলে বিদেশ থেকে আনতে হবে। কিন্তু কালি মুছে গেলেও একজন ভোটারের দ্বিতীয়বার ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ সবাইকে তিন ধাপে চেক করা হচ্ছে, প্রথমে ভোটারের সিরিয়াল নাম্বার চেক করা হচ্ছে, এরপর আইডি নাম্বার, এরপর ভোটারের নাম ও ছবি মিলিয়ে দেখে স্বাক্ষর নেওয়া হচ্ছে। তাই কারও পক্ষে দ্বিতীয়বার ভোট দেওয়া সম্ভব নয়’।