সুপ্রভাত ডেস্ক »
নগরীর ৭৫ স্থানে খাল ও নালা-নর্দমার মধ্যে দিয়ে যাওয়া ওয়াসার পাইপগুলো বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনে বাধা হয়ে আছে বলে চিহ্নিত করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।
গতকাল সোমবার দুপুরে সিডিএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এই ৭৫ স্থানের তালিকা দেন। খবর বিডিনিউজের।
চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সিডিএ। এই প্রকল্পের অধীনে নগরীর ৩৬টি খাল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, খাল খনন, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, খালের পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণের কাজ চলছে। প্রকল্পের পূর্ত কাজ করছে সেনাবাহিনীর ৩৪ কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড।
এর আগে সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে একাধিক সমন্বয় সভায় খাল-নালায় ওয়াসার পাইপে প্রতিবন্ধকতার বিষয়টি উত্থাপন করে সিডিএ। এসব পাইপ নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে জলাবদ্ধতার অন্যতম প্রধান কারণ বলে মনে করেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
সপ্তাহখানেক আগে জলাবদ্ধতা প্রকল্পের সমন্বয় সভায় এসব পাইপের তালিকা ওয়াসাকে দেওয়ার কথা বলেছিলেন কিছুদিন আগে সিডিএর চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পাওয়া মোহাম্মদ ইউনুছ।
সোমবার ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভারি বৃষ্টিতে বন্দর নগরীর বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে যায় গোড়ালি থেকে হাঁটু সমান পানিতে। বিকালের মধ্যে বেশিরভাগ মূল সড়ক থেকে পানি নামলেও কিছু নিচু এলাকার অলিগলিতে সন্ধ্যার পরও পানি আটকে থাকে।
দুপুরেই ওয়াসা ভবনে সংস্থার এমডি একেএম ফজলুল্লাহর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে ৭৫টি স্থানে থাকা ওয়াসার পাইপের তালিকা হস্তান্তর করেন সিডিএ চেয়ারম্যান।
এ সময় মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, সিডিএর প্রকৌশল টিম নগরীতে সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে যাওয়ার কারণ সরেজমিন অনুসন্ধান করতে গিয়ে বাধা হিসেবে বিভিন্ন খাল, নর্দমা ও নালার ৭৫টি স্পটে ওয়াসার পাইপ চিহ্নিত করেছে।
এসব পাইপের সঙ্গে পলি ও বর্জ্য জমে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনে বাধার সৃষ্টি করে।
এ সময় ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহ জরুরিভিত্তিতে পাইপ লাইনগুলো সংস্কারের আশ্বাস দিয়ে বলেন, নগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে সংস্থাগুলো পরস্পরের সাথে সমন্বয় করে একযোগে কাজ চালিয়ে যাব।
এদিন বিকালে সিডিএ চেয়ারম্যান নগরীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেছেন।
তিনি চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড ও স্লুইস গেট, কালুরঘাট থেকে শাহ আমানত সেতু সড়ক ও স্লুইস গেট প্রকল্প ঘুরে দেখেন।
প্রকল্পের প্রকৌশলী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে গুণগত মান অক্ষুুন্ন রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন তিনি।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, নির্বাহী প্রকৌশলী রাজীব দাশ ও প্রকৌশলী নিয়াজ মামুন।