চট্টগ্রাম টেস্টে ম্যাথিউজ’র আক্ষেপ
এ জেড এম হায়দার
বড়ই দূর্ভাগ্য, ১৯৯ রানে আউট হয়ে লংকার অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ আউট হয়ে ডাবল সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আর সাকিবের কল্যানে এ কৃর্তিমান ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরান ’লোকাল হিরো’ নাঈম হাসান। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট তুলে নিয়ে ক্যারিয়ারের সেরাটা করে হোমগ্রাউন্ডকে স্মরণীয় করলেন দলের সর্বকনিষ্ঠ এ স্পিনার। গতকাল দ্বিতীয় দিনে শেষ সেশনে ৩৯৭ রানে শ্রীলংকার ইনিংস গুটিয়ে গেলে আরেক ’লোকাল হিরো’ তামিম ইকবাল ও নবাগত মাহমুদুল হাসান জয় স্বাচ্ছন্দে ব্যাট করে ৭৬ রান তুলে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শেষ করেন। তামিম ৩৫ ও জয় ৩১ রান নিয়ে আজ তৃতীয় দিনের সূচনা করবেন।
মেহেদী হাসান মিরাজ অনুশীলনে আঙ্গুলে ব্যথা পেয়ে দল থেকে ছিটকে গেলে সুযোগ আসে নাঈম হাসানের। প্রথম দিন ব্রেক থ্রু করে দুই উইকেট নেয়া নাঈম দ্বিতীয় দিন ম্যাথুউসের উইকেটসহ ৬ উইকেট শিকার করে ক্যারিয়ারের সেরা রেকর্ড গড়েন।
দ্বিতীয় দিন লাঞ্চ বিরতির আগে চান্দিমালের পর একই ওভারে ম্যাথুউসতে সঙ্গ দিতে নামা ডিকওয়েলাকে ফিরিয়ে দেন নাঈম। কিন্তু অপ্রতিরোধ্য ম্যাথিউস সর্তকায় এগিয়ে যান। ৬৬ রান করা চান্দিমালকে লেগ-বিফোরের ফাঁদে ফেলেন নাঈম। রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে আউট হওয়া এ ব্যাটার রিভিউ নিয়েও ব্যর্থ হন। এর আগে তিনি ম্যাথিউসের সাথে ১৩৬ রানের জুটি উপহার দেন। একই ওভারে কিপার ডিকওয়ালাকে (৩) বোল্ড করে আবারো স্বাগতিকদের স্বস্তি এনে দেন নাঈম। এরই সাথে চতুর্থ উইকেট শিকারী হন চট্টগ্রামের এ তারকা।
অপ্রতিরোধ্য ম্যাথিউসের সুবাদে ৬ উইকেটে ৩২৭ রান নিয়ে লাঞ্চ সেশনে যায় লংকা দল। দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ওভারেই দুটি উইকেট তুলে নিয়ে সাকিব আল হাসান সফরকারিদের ইনিংসে অনেকটা আতংক ছড়িয়ে দেন। রমেশ মেন্ডিসকে (১) বোল্ড করার পরের বলেই লাসিথ এম্বুলদেনিয়াকে লেগ-বিফোরের ফাঁদে পা দিতে বাধ্য করেন এ সেরা অলরাউন্ডার স্পিনার।
ডাবল সেঞ্চুরি থেকে এক রান দূরে থাকা ম্যাথিউজ নাঈমকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে বল সাকিব হাতে জমা হলে কপাল পুড়ে। এক রানের জন্য ডাবল মিস করা টেস্টে এ ধরণের ঘটনার ১২তম শিকার হন এ অলরাউন্ডার।