তামিমের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বিসিবি

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক

তামিম ইকবাল জাতীয় দলে কবে ফিরবেন- এটা গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকেই ক্রিকেট ভক্তদের বড় প্রশ্ন। বোর্ড থেকে বারবার বলা হচ্ছিলো, তামিমের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা শেষে জানানো হবে সিদ্ধান্ত। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। বোর্ডও জানে না, কবে ফিরবেন তামিম। কারফিউয়ের মাঝে গত মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। তিনিও তখন সঠিকভাবে বলতে পারেননি, কবে তামিম ফিরবেন। তারা শুধু সাবেক এই অধিনায়কের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন।
মেদ ঝরিয়ে, ওজন কমিয়ে ঝরঝরে হতে হুট করেই দুবাই গিয়েছিলেন তামিম ইকাবল। ফিটনেস ঠিক করতেই মূলতঃ দেশের বাইরে দৌড়াদৌড়ি করছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। যে কারণে সবাই আঁচ করছিলো, এটা হয়তো তামিমের দলে ফেরার রোডম্যাপ। কিন্তু বিসিবি কর্মকর্তার কথায়, সে রোডম্যাপের ছিটেফোঁটাও বোঝা গেলো না। বিসিবি কর্মকর্তাদের একটাই ভরসা, সভাপতি ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। তার সঙ্গেই বেশ কয়েকবার এ নিয়ে বৈঠক করেছেন তামিম। যে কারণে বিসিবি সভাপতি তার ফেরার দিনক্ষণ হিসেবে ‘আগামী বছর’-এর কথা বলেছিলেন। তামিমের সেই ফেরার সূচি ফেব্রুয়ারি-মার্চে অনুষ্ঠেয় আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দিয়েই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে শোনা যাচ্ছে। যদিও এ নিয়ে কারো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য নেই। বিষয়টা এখন শুধু বোর্ড সভাপতি আর তামিমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ বলে জানিয়েছেন ক্রিকেট অপস সভাপতি জালাল ইউনুস।
মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তামিম প্রসঙ্গ উঠতেই তিনি বলেন, ‘তামিমের ব্যাপারটি বোর্ড সভাপতি আমাকে ও এনায়েত হোসেন সিরাজ ভাইকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আপনারা জানেন যে ওর সঙ্গে আমরা বসেওছিলাম। আমাদের কাজ আমরা সেরেছি। এরপর বলেছিলাম, বোর্ড সভাপতির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তামিম একটি সিদ্ধান্ত নেবে। এটিই সর্বশেষ সিদ্ধান্ত ছিল।’ এরপরের অগ্রগতি আর জানা নেই জালালের। বরং, তারা অপেক্ষায় রয়েছেন তামিমের সিদ্ধান্তের। তিনি বলেন, ‘এটি জানি যে এরপরও বোর্ড সভাপতির সঙ্গে তামিমের কয়েকবার যোগাযোগ হয়েছে। তামিমও বলেছে যে সুযোগ হলে সভাপতির সঙ্গে (আরেকবার) কথা বলে সে চূড়ান্ত করবে। তামিমই ভালো বলতে পারবে (কী সিদ্ধান্ত নেবে?)। আমরা ওর (সিদ্ধান্তের) অপেক্ষায় আছি।’
তবে ফিটনেস নিয়ে তামিম যে কার্যক্রমও শুরু করেছিলেন, তা নিরবচ্ছিন্ন হতে পারেনি। দুবাইয়ে এক বন্ধুর বাসায় থেকে ফিটনেস নিয়ে কাজ করতে থাকার মধ্যে এ বাঁহাতি ব্যাটারকে সব স্থগিত করতে হয়েছিল বড় ভাই নাফিস ইকবালের অসুস্থতায়। বাংলাদেশ দলের লজিস্টিকস ম্যানেজার নাফিসকে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডেও যান তিনি। সেখান থেকে আবার দুবাই যাওয়ার পর তামিম গতকাল ঢাকায় ফেরার কথা ছিল। যতদূর খবর, আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার প্রবল ইচ্ছা আছে এই ওপেনারের। এর আগে নভেম্বর-ডিসেম্বরের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে ম্যাচ প্রস্তুতিও ঝালিয়ে নিতে চান তিনি। খবর জাগোনিউজ’র