সুপ্রভাত ডেস্ক »
শাইনপুকুরের বিপক্ষে ডিপিএলের ম্যাচের আগে থেকেই অস্বস্তিতে ভুগছিলেন তামিম ইকবাল। টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল শাইনপুকুর। তবে মোহামেডান অধিনায়ক তামিম ইকবাল আর ফিল্ডিংয়ে নামতে পারেননি। ড্রেসিংরুমে ফিরেই নিজের অস্বস্তির কথা জানান।
একপর্যায়ে অবস্থা গুরুতর হলে ঢাকায় আনার পরিকল্পনা করা হয়। সেই উদ্দেশে বিকেএসপির মাঠে নেওয়া হয়েছিল হেলিকপ্টার। তবে তামিমকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকায় আনাও সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত সাভারে কেপিজে হাসপাতালে (সাবেক ফজিলাতুননেসা মুজিব হাসপাতালে) নেওয়া হয়েছে তাকে।

সবশেষ তথ্য বলছে, তামিমের হার্টে এনজিওগ্রাম হয়েছে। তাতে ব্লক ধরা পড়েছে। সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট জানান, তামিমের অবস্থা আগের থেকে উন্নতি হয়েছে। সারভাইভ করে গিয়েছে। সবশেষ প্রাপ্ত খবর বলছে, তামিম ইকবালের হার্টে রিং পরানো হয়েছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) দুুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল-ক্লিনিক শাখা) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান সাংবাদিকদের জানান, মোহামেডানের হয়ে ডিপিএলের ম্যাচ খেলতে সাভার বিকেএসপি মাঠে অল্প সময়ের মধ্যেই দুইবার হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট থেকে সদ্য সাবেক হওয়া ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। জরুরি অবস্থায় তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়ার পর হার্টে রিং পরানো হয়েছে। এমনকি বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে ।
তিনি বলেন, তিনি (তামিম ইকবাল) একিউট এমআই বা হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন, যার ফলে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। প্রাথমিকভাবে প্রাইমারি পিসিআই করা হয় এবং এলসিএক্স নামের ধমনীতে ব্লক ধরা পড়ে। তাই জরুরিভিত্তিতে সেখানে স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমে ব্লকেজ কমে গিয়ে হার্টে রক্তপ্রবাহ বাড়ে, যা তাকে দ্রুত সুস্থ হতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, প্রথমে হাসপাতালে আসার পর তিনি ছেড়ে চলে যান, কিন্তু পরে আবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে পুনরায় ভর্তি হন। তাকে ১৫ মিনিট ধরে সিপিআর দেওয়া হয়। তিনি তখন অত্যন্ত সংকটাপন্ন অবস্থায় ছিলেন এবং বর্তমানে সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) আছেন। তার স্ত্রী এবং বিকেএসপি পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।
বর্তমান শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাসপাতাল শাখার পরিচালক আরও বলেন, আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তার (তামিম) অবস্থা এখন কিছুটা উন্নতির দিকে, তবে তিনি এখনও নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন।