সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
সাকিবের (৬৬) চেয়ে ২৩ টেস্ট কম (৪৩) খেলেছেন তিনি। উইকেট শিকার এবং ৫ উইকেট দখলেও বেশ পিছিয়ে। সাকিবের এক ইনিংসে ৫ কিংবা তার বেশি উইকেট শিকার ১৯ বার। তাইজুল ইসলাম ৫ বা তার বেশি উইকেট শিকার করেছেন ১২ বার। তবে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে ধারবাহিকভাবে ভালো বোলিং এবং উইকেট শিকারে তাইজুল ইসলামও পিছিয়ে নেই। গতকাল শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ক্যারিয়ারের এক অন্যরকম মাইলফলক স্পর্শ করলেন নাটোরের ৩১ বছর বয়সি বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল। ২০১৮ সালের নভেম্বরে এই সিলেট স্টেডিয়ামেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৭০ রানে ১১ উইকেট আছে তাইজুলের। ৫ বছর পর একই মাঠে ১৩৫ রানে ১০ উইকেট দখল করলেন তাইজুল। শুধু ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মত ১০ উইকেট শিকারের দারুন কৃতিত্বই নয়, বাংলাদেশের জয়েরও অন্যতম নায়ক তাইজুল। তাইতো অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর দ্বিতীয় ইনিংসের অনবদ্য শতরানের পরও ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠেছে তাইজুলের হাতে। তাইজুল ম্যাচ সেরা হবেন না কেন, একটা ‘কমপ্লিট ’টিম পারফরমেন্সের পাশাপাশি বাঁ-হাতি তাইজুলের স্পিন ভেলকিতেই যে কুপোকাত কিউইরা! বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুলের বোলিংয়ের তাই অকুণ্ঠ প্রশংসা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর মুখেও। তাইজুলকে এখন টেস্টে দেশের অন্যতম সেরা স্পিনার মনে করেন তরুণ এই অধিনায়ক। শনিবার খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে এসে শান্ত বলে ওঠেন, ‘আমার কাছে মনে হয় টেস্ট ফরম্যাটে বেশ কয়েক বছর ধরে তাইজুল ভাই অন্যতম সেরা বোলার।’ তাইজুলের সামর্থ্য সম্পর্কে খুব স্বচ্ছ ধারণা ছিল শান্তর। এ বাঁ-হাতি স্পিনার দীর্ঘক্ষণ বা লম্বা স্পেলে একই জায়গায় বল করতে পারেন। তা জানতেন বলেই তার ওপর বিশ্বাসটাও ছিল বেশি। তাইতো শান্তর মুখে এমন কথা, ‘উনার সবচেয়ে বড় স্ট্রেন্থ লম্বা সময় একই জায়গায় বল করতে পারেন। ওই বিশ্বাসটা আমার ছিল, ওটাই আমি কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। আপনি যদি খেয়াল করে দেখেন অনেক লম্বা সময় ধরে একপাশ থেকে বল করে গেছেন।’
তবে এই টেস্টে টাইগার অধিনায়ক অকপটে স্বীকার করেছেন তাইজুলকে কোন বিশেষ প্ল্যান এঁটে দেননি তিনি। তা জানাতেও কোন ভনিতা নেই শান্তর। ওরকম আলাদা কোনো প্ল্যান আমি দিইনি। উনিও (তাইজুল) করেন নাই। উনার যেটা প্ল্যান ছিল এক জায়গায় কিভাবে লম্বা সময় এক জায়গায় বল করা যায়। তাতেই ধরা দিয়েছে সাফল্য।’ খবর জাগোনিউজ’র