নিজস্ব প্রতিবেদক »
পরিবারের সাথে অভিমান করে নগরীতে এসে এক তরুণী ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত শনিবার দিবাগত রাতে আকবরশাহ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন।
সূত্রে জানা গেছে, ‘পরিবারের সাথে রাগ করে ২২ বছর বয়সী এক তরুণী কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে আসেন। ঘরে ফেরার টাকা না থাকায় ট্রেনে উঠতে না পেরে রেললাইন ধরে হাঁটতে থাকেন। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত হয়ে আকবরশাহ শাপলা আবাসিক এলাকার মীর আউলিয়া মাজারের পাশে একটি ঘরের সামনে বিশ্রাম করছিলেন। এসময় এক ব্যক্তি কথার ছলে এ তরুণীকে নিজের বাড়িতে পিতা-মাতার সাথে রেখে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন। ঘর ছেড়ে আসা সেই তরুণী নতুন ঠিকানা পাওয়ার আশায় বুক বাঁধে।
তাদের কথোপকথনের মাঝে আরও দুইজন ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত হন। সেই তরুণীর সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে তারা পার্শ্ববর্তী পাহাড়ের পাদদেশে দেওয়ালে ঘেরা একটি নির্জন নির্মাণাধীন বাড়ির ভিতরে নিয়ে তাকে মারধর করে। পরবর্তীতে তিনজন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ওই তরুণীকে।
ওসি জহির হোসেন বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে ভিকটিমকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে প্রত্যক্ষদর্শী ও ভিকটিমের বর্ণনা মতে সাত ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। এদের মধ্যে মো. নয়ন ও মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ গতবছর কোতোয়ালি থানা এলাকায় অপহরণ, মুক্তিপণ আদায় ও ধর্ষণের ঘটনার মামলায় গ্রেফতার হয়ে জামিনে বেরিয়েছে।’
গ্রেফতারদের মধ্যে মো. নয়ন (২৯) বোয়ালখালী পশ্চিম কধুরখীল চমদ আলীর বাড়ির সাইফুদ্দিন ওরফে সাইফুল মিস্ত্রির সন্তান। তিনি বর্তমানে আকবরশাহ্ শাপলা আবাসিক এলাকার মীর আউলিয়া মাজার রোড শাহাদতের বাড়িতে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ (২৩) কুমিল্লা নাঙ্গলকোট দক্ষিণ শ্রীহাশ্বর হাজী তাজুল ইসলামের বাড়ির মো. আবুল হোসেনের সন্তান। তিনি বর্তমানে একই এলাকার আবুল হোসেনের বাড়িতে ভাড়াবাসায় থাকেন। মো. আব্দুল লতিফ (২২) চাঁদপুর শাহরাস্তি নরিমপুর বাজার আলী আকবরের বাড়ির মো. সোলাইমানের সন্তান। তিনি বর্তমানে কর্নেলহাট সিডিএ ৩ নম্বর রোড দিদার ভবনের ৪র্থ তলার ভাড়াটিয়া।