বিভীষিকাময় সেই ভয়াল দিন আজ
ফজলে এলাহী, রাঙামাটি >>
বর্ষা যেন এখনো পার্বত্য শহর রাঙামাটির মূর্তিমান আতঙ্ক। টানা বর্ষণে ভূমিধসের শঙ্কা থাকায় এখনো আতঙ্ক কাটেনি রাঙামাটিবাসীর। তবুও থেমে থাকেনি পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস। একান্ত নিরুপায় হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাস করছেন, এমন দাবি বসবাসকারীদের। অপরদিকে অতীতে গৃহীত পদক্ষেপসমূহের বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। প্রাণহানি ও ভূমিধস এড়াতে ব্যাপক প্রস্তুতির কথা জানাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, পৌর এলাকায় ৩৩টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানসহ পুরো জেলায় ঝুঁকিতে বসবাস করছে প্রায় পনের হাজার পরিবার।
রাঙামাটি শহরের ভেদভেদী, যুব উন্নয়ন এলাকা, মনতলা আদাম, সাপছড়ি, পোস্ট অফিস এলাকা, মুসলিম পাড়া, নতুন পাড়া, শিমুলতলী, মোনঘর, সনাতন পাড়া এলাকায় সবচে বেশি পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। কিন্তু এরপরও থেমে থাকেনি একইস্থানে বসতি স্থাপন। জেলায় ৩ হাজার ৩৭৮ পরিবারের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছে। তবে বসবাসকারীরা শত ঝুঁকি জেনেও নিজেদের জায়গা থেকে সরতে রাজি নয়।
২০১৭ সালের ১২ ও ১৩ জুন টানাবর্ষণে ভূমিধসে ১২০ জন ও ২০১৮ সালের ১১ জুন ১১ জনের মৃত্যু হয়। লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় রাঙামাটি শহরসহ উপজেলাগুলো। বন্ধ হয়ে যায় দেশের সাথে সড়ক পথের যোগাযোগ। প্রাণহানির পাশাপাশি কৃষিজমি ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়। এই ঘটনার পর পাহাড় কাটা ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসের বিষয়টি সামনে আসলেও, ঘটনার চার বছর পরও রোধ করা যায়নি বসতি স্থাপন। যেখানে পাহাড় ধসে প্রাণহানি ঘটেছে, সেসব এলাকায় আগের চেয়ের দ্বিগুণ গড়ে উঠেছে বসতি। এতে আবারো শঙ্কা বেড়েছে প্রাণহানির। প্রশাসনের শত উদ্যোগের পর থামানো যাচ্ছে না ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসত নির্মাণ। তবে নিরাপদ স্থানে পুনর্বাসন করলে যেতে রাজি আছেন এসব সাধারণ মানুষ। তবে একান্তই নিরুপায় হয়ে তাদের এই এলাকায় বসবাস করতে হচ্ছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।
কী ঘটেছিল ১২ ও ১৩ জুন
মৌসুমি বায়ুর কারণে ২০১৭ সালের ১৩ জুনের বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই সারাদেশে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। যার কারণে দেশের অনেক জায়গায়ই বন্যা দেখা দেয়। ১২ জুন সকালে ৩৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে রাঙামাটি আবহাওয়া অধিদপ্তর। সারাদিনে প্রবল বর্ষণ চলতে থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে যোগ হয় বজ্রপাত। সময়ের সাথে সাথে বজ্রপাতের পরিমাণও বাড়তে থাকে। ১৩ জুন মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা থেকে রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ধস শুরু হয়। বেলা ১১টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় শহরের ভেদভেদী, রাঙাপানি, যুবউন্নয়ন, রেডিও স্টেশন, টিভি স্টেশন, রিজার্ভ বাজার, শিমুলতলী, মোনঘর, তবলছড়ি এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাহাড়ধসে মৃত এবং আহত ব্যক্তিদের ভিড় বাড়তে থাকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে। মৃত ব্যক্তিদের স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠতে শুরু করে হাসপাতাল এলাকার বাতাস।
পাহাড়ধসের ফলে পুরো শহর বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে পড়ে এবং শালবাগান পুলিশ ক্যাম্প এলাকায় বিশাল পাহাড় ধসে গিয়ে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে রাঙামাটি আঞ্চলিক সদরের নির্দেশে মানিকছড়ি ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল সেখানে যায়। তারা সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। উদ্ধারকাজ চলার সময় বেলা ১১টার দিকে পাহাড়ের একটি বড় অংশ উদ্ধারকারীদের ওপর ধসে পড়েল তারা মূল সড়ক থেকে ৩০ ফুট নিচে পড়ে যান। পরে একই ক্যাম্প থেকে আরও একটি উদ্ধারকারী দল এসে দুই সেনা কর্মকর্তাসহ চার সেনাসদস্যের লাশ এবং ১০ সেনাসদস্যকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পাহড়ধসে বন্ধ হয়ে যাওয়া রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যান চলাচল প্রায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল।
এখন কেমন আছে রাঙামাটি
পাহাড় ধসের তিন বছর পরও দৃশ্যত ভালো নেই রাঙামাটি। জেলা শহরের রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ত, ভেদভেদী, রাঙাপানির মত সড়কগুলোতে এখনো ক্ষত সাড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগের দাবি, রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ অফিসের অধীন ২০১৭ সালে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে প্রতিরক্ষামূলক আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় জেলায় ১৫১ টি স্পটে ৫ হাজার ৪শ ৭০মিটার রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ কাজ চলমান আছে। এছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় নালা হবে ৭ হাজার ৭শ ৩০ মিটার, কংক্রিটের স্লোপ প্রটেকশন ৭২ হাজার বর্গমিটার কাজ চলমান। যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪৯ কোটি টাকা। এতে জেলার ঝূঁকিতে থাকা সবগুলো সড়কেরই স্থায়ী সংস্কার কাজ করা হবে। বর্তমান চলমান প্রকল্পের আওতায় স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তিন পার্বত্য জেলার গতিপথের কী কী পরিবর্তন হয়েছে, মাটির গুণাগুণ পরীক্ষাসহ পাহাড় ধসের ঝূঁকিতে থাকা স্পট চিহ্নিতকরণ এবং ঝুঁক এড়াতে কোন স্পটে কী করতে হবে সেগুলো এই জরিপের মাধ্যমে বের করা হবে।
রাঙামাটি শহরের তবলছড়ি সড়কে ও রাঙামাটি চট্টগ্রাম সড়কের শিল্পকলা একাডেমি এলাকায় সড়কের ওপর তিন-পাঁচ ফুট জায়গা দখল করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পানি সরবরাহ লাইন। যা পাহাড় ধসের চার বছরেও সরানোর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৭ সালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ভূমিধসের কারণ অনুসন্ধান ও করণীয় সম্পর্কে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে ভূমিধসের কারণ হিসেবে দুর্বল মাটির গঠন, অতি বৃষ্টিপাত, চাষাবাদ, অবৈধ বসতিস্থাপন ও অপরিকল্পিত অবকাঠামো, বৃক্ষনিধন, উন্নত প্রযুক্তি ও প্রকৌশল ব্যবহার করে পাহাড় শাসন না করা, অবৈধভাবে পাহাড় কর্তন, ভূমিকম্পের মত কারণগুলো চিহ্নিত করে।
কমিটি ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড়ে ঝুঁকিতে বসবাস করা লোকজনকে আশ্রয়ণ ও গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পে স্থানান্তর করা, পাহাড় কাটা বন্ধ করার জন্য ইটভাটাগুলো ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা, দুর্যোগের ফলে পার্বত্য এলাকায় বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা গ্রহণ, পাহাড়ে ঢাল রক্ষায় অধিক হারে পরিবেশ বান্ধব ও পাহাড় রক্ষাকারী বৃক্ষ রোপণ, পাহাড় কাটার কুফল সম্পর্কে জনসাধারণকে জানানোসহ বেশকিছু প্রস্তাবনা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন।
পাহাড়ধস থেকে প্রতিকার পেতে এবং প্রাণহানি কমাতে সেসব প্রস্থাবনার সিংহভাগই প্রতিপালন চোখে পড়ে না। বিগত বছরগুলোর জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে জেলা শহরসহ জেলার বিভিন্নস্থানে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে ১০ হাজারেরও বেশি পরিবার। প্রতিনিয়ত পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলোতে পুনরায় গড়ে উঠছে বসতি।
তবে জেলা প্রশাসনের দাবি, পাহাড় কাটা রোধে কঠোর হয়েছে প্রশাসন, তেমনিভাবে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ, যেখানেই পাহাড় কাটার খবর আসছে সেখানেই তারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন। প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওয়ায় গৃহহীনদের গৃহ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও সামাজিক প্রেক্ষাপটকে সামনে নিয়ে প্রতিবেদনের সুপারিশমালা বাস্তবায়নে কাজ চালমান আছে।
রাঙামাটি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী অনুপম দে জানান, ‘আমরা এই পানি সরবরাহ লাইন সড়ক ও জনপথ বিভাগ তাদের রাস্তার রিটেইনিং ওয়ালের কাজ শেষ করলে তখন রাস্তার নিজ দিয়ে নিয়ে যেতে পারবো, তার আগে এগুলো সরানো সম্ভব হবে না।’
রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ আরেফিন জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের সকল স্পট চিহ্নিত করে সেগুলো সংস্কারে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এতে ৫ হাজার ৪শ ৭০ মিটার রিটেইনিং ওয়ালের কাজ চলমান আছে। এই প্রকল্পের আওতায় ভবিষ্যতে করণীয় বিষয়েও স্যাটেলাইটের মাধ্যমে একটি জরিপ চালানো হবে। প্রকল্পের প্রথমে বেশি ঝুঁকিতে থাকা সড়কগুলো আগে সংস্কার করা হচ্ছে, বাকিগুলো বর্ষা মৌসুম শেষ হলে করা হবে।
কী বলছেন সাধারণ মানুষ ?
শহরের টিভি কেন্দ্র এলাকার মো. আমির হোসেন বলেন, আমরা গরীব মানুষ, দিন মজুরি করে আমাদের সংসার চালাতে হয়। এরপর বাসা ভাড়া দিয়ে থাকার মত পরিস্থিতি আমাদের নেই। তাই কষ্ট করে অল্প টাকায় শিমুলতলী এলাকায় অল্প জায়গা কিনে বাসাবাড়ি করে বউ বাচ্চা নিয়ে আছি। বেশি বৃষ্টি হলে ভয় করে। তখন আশ্রায় কেন্দ্রে চলে যাই। এখান থেকে কোথায় যাবো। যাওয়ার কোন জায়গা নেই আমাদের।
নতুনপাড়া এলাকার আরেক বাসিন্দা মো. আলী হোসেন বলেন, ‘২০১৭ সালে পাহাড়ধসে আমার এক বড় ভাই মারা যায়। বিপদ জেনেও আমরা বসবাস করছি। মরলে এখানেই মরবো আর বাঁচলে এখানেই বাঁচবো। সারা বছর কেউ তো আমাদের খবর রাখে না। কেউ তো আমাদের জন্য নিরাপদ জায়গার ব্যবস্থা করে দেয় না। আমাদের কথা চিন্তা করার কেউ নাই।’
যুব উন্নয়ন এলাকার বাসিন্দা মনিময় চাকমা বলেন, ‘২০১৭ সালে পাহাড়ধসে আমার বাড়ির নিচ তলায় মাটি ঢুকে এক ভাড়াটিয়া মহিলা চাপা পড়ে। আমরা সবাই মিলে তাকে উদ্ধার করি। এখনো বর্ষা শুরু হলে শরীর থেকে প্রাণটা বের হয়ে যায়। রাতে বৃষ্টি শুরু হলে সারারাত না ঘুমিয়ে জেগে থাকি। কখন কী হয় সেই চিন্তায় থাকি। যেই পাহাড়ধসে গিয়েছিল সেটিও নিরাপদ করার জন্য কোন উদ্যোগ দেখিনি। যেসব পাহাড়ধসে গিয়েছিল সেগুলো যদি নিরাপদ করে দিতো কেউ তাহলে আমারও নিরাপদে থাকতে পারতাম।’
মুসলিমপাড়া এলাকার গ্রামপ্রধান আবু বক্কর মিঠু বলেন, ‘সরকার যদি আমাদের অন্যত্র নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যায়, আমরা চলে যেতে রাজি আছি, ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করতে চাই না। আবার খালি হাতে তুলে দিলেও আমরা যাব না। আমাদের যাওয়ার যায়গা না থাকায়, ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছি। যদি টাকা থাকতো তাহলে তো এখানে আর বসবাস করতাম না।’
তবে নাগরিক সমাজ বলছে, কেবল বর্ষা আসলেই তৎপরতা বাড়ে প্রশাসনের। অথচ দীর্ঘদিন ধরে উপক্ষিত আগের ঘটনার পর সুপারিশগুলো। পাহাড়ের ঝুঁকিতে যারা বসবাস করছে তাদের ব্যপারে আইন প্রয়োগে কঠোরতা, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পরিহার ও পূর্বে পাহাড় ধসে গৃহীত সুপারিশমালার বাস্তবায়ন চায় সুশীল সমাজ।
রাঙামাটি দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, পাহাড়ধস মোকাবেলায় দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প গ্রহণ এবং সেইসব প্রকল্প সততা ও দায়িত্বশীলতার মাধ্যমেবই বাস্তবায়ন করতে হবে। একই সাথে পাহাড়ধসের পর যে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠিত হয়ছে তাদের দেয়া সুপারিশ ও পরামর্শগুলোও বাস্তবায়ন ও অনুসরণ করতে হবে, নতুবা ফের একই রকম কিংবা অতীতের চেয়েও ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারে।
রাঙামাটি পৌরসভর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সচেতন করার কাজ করেছি এবং প্রতিটি ওয়ার্ড কাউন্সিলরা অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় লোকজনকে সচেতন করার কাজও চলছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর বর্ষা আসলেই আতঙ্কে থাকতে হয়। পাহাড়ের ঢালে বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে পুনর্বাসনের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান দেখছেন এই পৌর মেয়র।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘স্থায়ী সমাধানের যেসব প্রস্তাবনা ছিল সেগুলো বাস্তবায়নে আরও সময় লাগবে। তিনি বলেন, এই বর্ষায় যাতে আর একটিও প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে সেই ব্যাপারে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে, পৌর এলাকাসহ ১০ টি উপজেলায় ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালানো হয়েছে। বৃষ্টি শুরু হলেই লোকজন যেন আশ্রায়কেন্দ্রে চলে আসে সেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা পৌর এলাকায় ২৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করে রেখেছি।’