সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
ফিটনেস না থাকায় সাকিব আল হাসান ঢাকাতেই থেকে গিয়েছিলেন। ধারনা করা হচ্ছিল, ঢাকা টেস্টের আগে শতভাগ ফিট হয়ে উঠবেন। নিজেকে প্রস্তুত করতে ইতোমধ্যে কাজও শুরু করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। গত শুক্রবার নিজের একাডেমিতে অনুশীলন শুরু করেছেন। তার শৈশবের গুরু কোচ সালাউদ্দিনের তত্ত্বাবধানে চলছে এই অনুশীলন।
আশার কথা হলো, কোনও প্রকার অস্বস্তি ছাড়াই সাকিব নেটে ব্যাটিং করেছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে আগামী ৪ ডিসেম্বর মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। নিজেকে পুরোপুরি প্রস্তুত করতে আরও কয়েকটি দিন সময় পাবেন তিনি। তবে ঢাকা টেস্টে খেলতে এখনই ছাড়পত্র পাচ্ছেন না। তাকে আবার ফিটনেস টেস্ট দিয়ে খেলার অনুমতি পেতে হবে।
বাংলা ট্রিবিউনকে বিসিবির এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘দ্বিতীয় টেস্টে সে খেলবে কিনা, এই মুহূর্তে সেটা বলা যাচ্ছে না। তবে খেলার জন্য সে নিজেকে প্রস্তুত করছে। সাকিব যদি ভালো অনুভব করে, তাহলে সে তার অনুশীলনের পরিমাণ বাড়াবে।’
সাকিব হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট পাওয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝপথেই ছিটকে যান। তার চোটের ধরন ছিল গ্রেড ওয়ান। ফলে দুবাই থেকে সোজা চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে স্ত্রী-সন্তানদের কাছে। সেখানে চলে তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। কয়েক সপ্তাহ বিশ্রাম নিয়ে গত রবিবার রাতে দেশে ফিরেছেন। দেখা করেন জাতীয় দলের ফিজিও জুলিয়ান ক্যালাফতের সঙ্গেও। সেখানে পর্যবেক্ষণের পর ফিজিও ঘোষণা দেন, তিনি এখনও ফিট নন খেলার জন্য। তাই চট্টগ্রাম টেস্টে তাকে ছাড়াই খেলতে নামে বাংলাদেশ।