সুপ্রভাত ডেস্ক »
বন্দরে আটকে থাকা কনটেইনার দ্রুত খালাসে চট্টগ্রামসহ, ঢাকা আইসিডি বা পানগাঁও কাস্টম হাউজ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআরের জনসংযোগ বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে। এর ফলে আমদানিকারকদের সুবিধা অনুযায়ী এই তিন কাস্টম হাউজের যে কোনও একটি দিয়ে কন্টেইনার খালাস করা যাবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকার আইসিডিতে খালাসের ঘোষণা দেওয়া আমদানি করা মোট ১৮৫৬টি কনটেইনার আটকে থাকার ফলে চট্টগ্রামে বন্দরের কাজ সামলানো কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। এক দিকে আন্দোলন ঘিরে আগের কন্টেইনার জট এবং, অন্যদিকে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় জাহাজে নতুন নতুন কনটেইনার আসতে শুরু করায় সেই জট আরও বেড়ে যায়। তাতে বিপাকে পড়েন দেশের ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরাও।
এনবিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কারণে দেশে রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল। এর ফলে রেলে ঢাকা আইসিডি ঘোষিত আমদানি কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকা, আইসিডি, কমলাপুরে আনা বন্ধ হয়ে যায়। তবে জাহাজ থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার অবতরণ কার্যক্রম সম্পূর্ণ সচল থাকায় চট্টগ্রাম বন্দর প্রান্তে বিপুল পরিমাণ ঢাকা আইসিডিগামী কনটেইনার জমে যায়।
এ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সার্বিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে ঢাকা আইসিডি ঘোষিত আমদানি কনটেইনারগুলো পণ্য বা কার্গো ঘোষণা সংশোধনের মাধ্যমে ঢাকা আইসিডির পরিবর্তে চট্টগ্রাম বন্দর বা পানগাঁও, আইসিটি থেকে ডেলিভারি প্রদানের অনুমতির জন্য অনুরোধ জানিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বরাবর চিঠি পাঠায়।
এনবিআরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এনবিআর অনতিবিলম্বে উদ্ভূত পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে আমদানি করা মোট ১৮৫৬টি কনটেইনার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ, আইসিডি কাস্টম হাউজ বা পানগাঁও কাস্টম হাউজের যেকোনও একটি বন্দর থেকে খালাসের অনুমতি দিয়েছে। ফলে আশা করা যায়, চলমান কনটেইনার জট শিগগিরই অনেকটা নিরসন হবে এবং পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এভাবে দেশের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় রাজস্ব জোগানে অগ্রদূত হিসেবে ভূমিকা পালনে এনবিআর একইভাবে সচেষ্ট থাকবে। সূত্র: বাংলাট্রিবিউন