সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার মুখোমুখি হয়েছিল সিলেট সানরাইজার্স। ঢাকাকে বিধ্বস্ত করে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দল।
আগে ব্যাট করে ১৮.৪ ওভারে অল আউট হওয়ার আগে ১০০ রান সংগ্রহ করেছিল ঢাকা। মাত্র ৩ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছায় সিলেট। হাতে ছিল আরো ১৮ বল।
সিলেটের হয়ে রান তাড়া করতে নামেন লেন্ডল সিমন্স ও আনামুল হক বিজয়। উদ্বোধনী জুটিতে দুজনে যোগ করেন ২১ রান। দীর্ঘদিন পর এ ম্যাচ দিয়েই মাঠে নেমেছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। তার শিকার হয়ে ফেরেন সিমন্স। এর আগে করেন ১৬ রান।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩৮ রান। মাঝে জীবন পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি মোহাম্মদ মিঠুন। ১৫ বলে ১৭ রান করেন তিনি। তাকে সাজঘরে পাঠান হাসান মুরাদ। কলিন ইনগ্রামকে সঙ্গে নিয়ে বাকি পথ সহজেই পাড়ি দেন বিজয়।
তবে অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করতে পারেননি বিজয়। ইনিংসের শেষ দিকে যখন মাত্র ২ রান প্রয়োজন, তখন মাশরাফীকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ৪৫ রানে আউট হন তিনি। অন্যপ্রান্তে কলিন ইনগ্রাম ২১ ও রবি বোপারা ১ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করেন।
এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন সিলেট অধিনায়ক সৈকত। শুরু থেকেই ঢাকাকে বল হাতে চেপে ধরে সিলেটের বোলাররা। ১৭ রানের মাঝেই ৩ উইকেট হারায় ঢাকা। তামিম ইকবাল ৩, মোহাম্মদ শেহজাদ ৫ ও জহুরুল হক ৪ রান করেন।
দুরত ৩ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন মাহমুদল্লাহ রিয়াদ ও মোহাম্মদ নাইম। দুজনে মিলে গড়েন ৪০ রানের জুটি। আম্পায়ারের হাস্যকর ভুল সিদ্ধান্তে ভাঙে এ জুটি। যার ফলে ৩০ বলে ১৫ রানে আউট হন নাইম। একই ওভারে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন আন্দ্রে রাসেল।
এরপর ঢাকার আর কেউই ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দলের পক্ষে ২৬ বলে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এছাড়া শুভাগত হোম ২১ রান করেন। আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে রান করতে পারেননি।
সিলেটের হয়ে একাই ৪ উইকেট নেন নাজমুল হোসেন অপু। এছাড়া তাসকিন আহমেদ তিনটি, সোহাগ হাজী দুটি ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত একটি করে উইকেট শিকার করেন।