সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
তাইজুল ইসলাম সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট করেছিলেন। চতুর্থ দিনের শেষ বলে পেয়ে গিয়েছিলেন উইকেটও। তাতে রোমাঞ্চকর লড়াই দেখার আশার সলতেটা জ্বলে উঠেছিল। শেষ দিনে এসেও তাতে কয়েকবার ঔজ্জ্বল্য বেড়েছে। কিন্তু শেষ অবধি ড্র-ই নিয়তি হয়েছে চট্টগ্রাম টেস্টের। এক রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি মিস করা লংকান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ম্যাচসেরা ও ক্যারিয়ার সেরা ৬ উইকেট শিকারী ’লোকাল হিরো’ স্পিনার নাঈম হাসান ভেল্যুয়েবেল প্লেয়ারের পুরস্কার পেয়েছেন।
জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজে গতকাল পঞ্চম দিনের শেষ সেশনে ৬ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা ২৬০ রান তুলে নেওয়ার পর ড্র মেনে নেন দুই দলের অধিনায়ক। একমাত্র ইনিংস ব্যাটিং করে বাংলাদেশ তুলেছিল ৪৬৫ রান। এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৯৭ রানে থামে শ্রীলঙ্কা।
৩৯ রানে দুই উইকেট নিয়ে শেষ দিন শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। কুশল মেন্ডিসকে নিয়ে সকালটা ভালোভাবেই পার করেন অধিনায়ক দিমুথ করুণারতেœ। কিন্তু এবারও তাদের জন্য হুমকি হন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ফিফটি থেকে দুই রান দূরে থাকতে মেন্ডিসকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন তিনি। তার করা গুড লেন্থের বল মেন্ডিসের অফ স্ট্যাম্পে আঘাত হানে। ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৪৩ বলে ৪৮ রান করে ফিরে যান তিনি। আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে ফেরাতেও বেশি সময় নেয়নি বাংলাদেশ। এবারও দলের ত্রাণকর্তা তাইজুল। ডট বলের চাপে পড়ে যাওয়া ম্যাথিউস তাকে খেলতে গিয়েছিলেন ক্রিজ থেকে বেড়িয়ে এসে। কিন্তু তার ব্যাটে লেগে তাইজুলের হাতেই ক্যাচ চলে আসে। ১৫ বল খেলে কোনো রান না করেই সাজঘরে ফিরতে হয় ম্যাথিউসকে। চার উইকেট হারিয়ে প্রথম সেশন শেষ করে শ্রীলঙ্কা। খবর বাংলানিউ।
আশা জাগে ম্যাচে রোমাঞ্চকর কিছু হওয়ার। সেটা আরও একবার বাড়িয়ে দেন তাইজুল। এবার তিনি আউট করেন উইকেটে জমে যাওয়া অধিনায়ক করুণারতেœকে। মিড উইকেটে দাঁড়ানো মুমিনুল হকের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন লঙ্কান অধিনায়ক। ২ চারে ১৩৮ বলে ৫২ রান করেন তিনি। ১৪৩ রানে ৫ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। মাঝে কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে বাংলাদেশকে ফের স্বপ্ন দেখান সাকিব আল হাসান। ৬০ বলে ৩৩ রান করা ধনঞ্জয়া ডি সিলভার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরত পাঠান তিনি। কিন্তু এতটুকুই। এরপর আর লঙ্কানদের বিপদ বাড়তে দেননি দিনেশ চান্ডিমাল ও নিরোশান ডিকভেলা। বাকিটা সময় স্বাচ্ছন্দ্যে পাড় করেন এই দুজন। ১৩৫ বলে ৩৯ রান করে চান্ডিমাল ও ৯৬ বলে ৬১ রান করে অপরাজিত থাকেন ডিকভেলা। রোমাঞ্চের আশা জাগিয়েও নিস্প্র্রাণ ড্রয়ে শেষ হয় চট্টগ্রাম টেস্ট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ৩৯৭, বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৪৬৫, শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ইনিংস: ৯০.১ ওভারে ২৬০/৬ (আগের দিন ৩৯/২) (করুনারতেœ ৫২, মেন্ডিস ৪৮, ম্যাথিউস ০, ধনাঞ্জয়া ৩৩, চান্দিমাল ৩৯*, ডিকভেলা ৬১*, নাঈম ২৩-৫-৭৯-০, খালেদ ৭-২-৩৭-০, সাকিব ২৫-৫-৫৮-১, তাইজুল ৩৪-৯-৮২-৪, শান্ত ১-০-২-০)