ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলা

রক্তাক্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরিয়ে নিচ্ছে সিক্রেট সার্ভিস সদস্যরা। ছবি: এএফপি।

সুপ্রভাত ডেস্ক »

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলা হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে পেনসিলভানিয়ায় এক নির্বাচনী প্রচারে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীর গুলিতে আহত হয়েছেন ট্রাম্প। তবে তা গুরুতর নয়।

ট্রাম্প বর্তমানে তিনি বিপদ মুক্ত বলেই জানাচ্ছে আমেরিকার সংবাদমাধ্যম। গুলি লাগার পর তাঁর কান থেকে রক্ত পড়ছিল। দ্রুত মঞ্চ থেকে নামিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয় ট্রাম্পকে। পরে সভার অভিজ্ঞতার কথা তিনি নিজেও ভাগ করে নিয়েছেন।

শনিবার পেনসিলভেনিয়ার বাটলারের একটি সভায় গিয়েছিলেন ট্রাম্প। তাঁর কথা শোনার জন্য প্রচুর মানুষের জমায়েত হয়েছিল। মঞ্চে উঠে কথা বলতে শুরু করেন ট্রাম্প। তখনই গুলি ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। দেখা যায়, ট্রাম্পের ডান দিকের কানের পাশ থেকে রক্ত বেরোচ্ছে। তাঁর মুখেও রক্ত দেখা যায়। তিনি হাত দিয়ে কান চেপে ধরেন। সভায় উপস্থিত বাকিরাও নিচু হয়ে বসে পড়েন। দ্রুত সেখান থেকে ট্রাম্পকে সরিয়ে নিয়ে যান তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা। সভাস্থলে আতঙ্কে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়।

ট্রাম্প বলেছেন গুলি তার কানে লেগেছে এবং মনে হয়েছে বুলেট চামড়া ঘেঁষে চলে গেছে। হামলার পর একজন পুরুষ হামলাকারী সিক্রেট সার্ভিস সদস্যদের গুলিতে নিহত হয়েছে।

সিক্রেট সার্ভিস জানিয়েছে এ হামলায় অন্য এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে এবং দুজন গুরুতর আহত হয়েছে।

পেনসিলভানিয়ায় এক সমাবেশে ট্রাম্পের ওপর ‘দৃশ্যত এ প্রাণঘাতী হামলার’ চেষ্টা হয়েছে।

এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ট্রাম্প মেঝেতে বসে পড়ছেন এবং এরপর তিনি যখন দাঁড়ান তখন তার মুখের এক পাশে রক্ত দেখা যাচ্ছিলো।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

এদিকে, ঘটনার পর দেয়া এক পোষ্টে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ায় সিক্রেট সার্ভিস ও অন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সেই সাথে নিহত ব্যক্তির পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, “এ ধরণের সহিংসতার কোন জায়গা আমেরিকায় নেই। এটা জঘন্য, জঘন্য। আমি নিশ্চিত করতে চাই যে আমাদের কাছে সব তথ্য আছে।”