ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। ডেঙ্গুর ধরনও পরিবর্তন হচ্ছে। শহর ছেড়ে ডেঙ্গু এখন সারা দেশে ছড়িয়েছে। জলবায়ু ও আর্থসামাজিক পরিবর্তন এবং উন্নয়নমূলক কাজের কারণে ডেঙ্গু রোগের বিস্তার বেড়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে এ অঞ্চলে ডেঙ্গুর প্রবণতা থাকায় ক্রমিক বা দ্বিতীয়বার ডেঙ্গুতে সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। ডেঙ্গুতে প্রথমবারের চেয়ে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়াটা বেশি ঝুঁকির।
গত শনিবার (৩ জুন) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ডেঙ্গুর উপসর্গের পরিবর্তনশীল ধরন শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তরা এসব কথা বলেন।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মানুষের মধ্যে নারীদের মারা যাওয়ার হার বেশি। চলতি বছর জুন-জুলাই মাস আসার আগেই আক্রান্ত প্রায় দুই হাজার ছাড়িয়েছে যা উদ্বেগের বিষয়।
দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি রোগী মারা গেছেন গত বছর। ওই সময় ২৮১ জন মারা গেছেন। ২০০০ সালে দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিয়েছিল। ওই বছর ডেঙ্গুতে মারা যান ৯৩ জন।
এরপর ডেঙ্গুর সবচেয়ে বড় প্রকোপ দেখা দেয় ২০১৯ সালে। ওই বছর মারা যান ১৭৯ জন। করোনা মহামারি শুরুর বছর, অর্থাৎ ২০২০ সালে মারা যান ৭ জন এবং পরের বছর মারা যান ১০৫ জন।
মশা নিয়ন্ত্রণে নজর দিতে হবে। হাত পা ঢেকে জামা পরার পাশাপাশি মোজা পরার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তররা। বিশেষজ্ঞ ডাক্তররা বলছেন এ সময়ে জ্বর হলে অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ খাওয়া যাবে না। ডেঙ্গুর ধরন ও রোগীর অবস্থা বুঝে এন্টিবায়োটিক দিতে হবে। ডেঙ্গু হলেই রক্ত বা প্লাটিলেট দিতে হবে না। যদি চিকিৎসক প্রয়োজন মনে করেন তবেই দিতে হবে।
ডেঙ্গুতে প্রথমবারের চেয়ে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়াটা বেশি ঝুঁকির। আগে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের অনেকেই এবার আবার আক্রান্ত হতে পারেন। ডেঙ্গু হলেই রোগীর সঙ্গে লেগে থাকতে হবে। যেকোনো জ্বর হলেই সচেতন থাকতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চিকিৎসা নিতে হবে।
ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে
দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়াটা বেশি ঝুঁকির