নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্বাভাবিক বৃষ্টিতে ধসে পড়ছে ডিটি-বায়েজীদ সংযোগ সড়কের অর্ধকাটা খাড়া পাহাড়। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের উত্তরাংশের খাড়া পাহাড়গুলো ধসে পড়ছে। রাস্তাটি দিয়ে ব্যাপকহারে মানুষের চলাচল না থাকলেও অনেকে চলাচল করে। এতে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
পাহাড় কেটে গড়ে উঠা এই এই সড়কের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। কিন্তু ফিনিশিংয়ের কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তবে সড়কর দু’পাশেই পাহাড়গুলো রয়েছে অর্ধকাটা অবস্থায়। করোনার আগে পরিবেশ অধিদপ্তরের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় এই পাহাড়গুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনের বাইরে পাহাড় কাটায় ইতিমধ্যে রোড বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ) ১০ কোটি টাকা জরিমানাও করে পরিবেশ অধিদপ্তর।
এদিকে এসব পাহাড়ের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিটি-বায়েজীদ সংযোগ সড়কের পরিচালক ও সিডিএ’র নির্বাহি প্রকৌশলী রাজীব দাশ বলেন, ‘আমরা এসব পাহাড়গুলোকে কাটার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে আবেদন করেছি। সেই আবেদনের পর তারা কিছু চাহিদা উল্লেখ করেছে। তাদের চাহিদাসহ আবারো আবেদন করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে সুপারিশসহ অনুমোদন পেলেই খাড়া পাহাড়গুলো ঝুঁকিমুক্ত করার জন্য কাটা হবে।’
এবিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা উপ-পরিচালক জমির উদ্দিন বলেন, ‘সিডিএ আমাদের কাছে আবেদন করেছে। উচুঁনিচু ভূমির মানচিত্র চাওয়া হয়েছে তাদের কাছে। সেই মানচিত্রের পরিপ্রেক্ষিতে কীভাবে পাহাড়গুলোর ঢাল রক্ষা করা হবে সেই নির্দেশনা দেয়া হবে।’
উল্লেখ্য, পাহাড় কেটে গড়ে উঠা এই রোডটি ফৌজদারহাট থেকে বায়েজীদ পর্যন্ত। প্রায় ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ এই রোডটি বাস্তবায়ন হওয়ায় এখন আর মানুষকে শহরের ভেতরের প্রবেশ করতে হলে একেখান মোড় ও জাকির হোসেন রোড ব্যবহার করতে হবে না। ডিটি বায়েজীদ সংযোগ সড়ক দিয়ে সহজে প্রবেশ করতে পারবে। একইসাথে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি অঞ্চলের গাড়িগুলো যাতায়াতে এই রোড ব্যবহার করে সুবিধা পাবে । প্রকল্পের প্রায় কাজ শেষের পথে থাকলেও রেললাইনের উপরে একটি ওভারব্রিজের কাজ এবং রাস্তার ফিনিশিংয়ের কিছু কাজ বাকি রয়েছে।