বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসের সভায় সুজন
‘ডায়াবেটিস ভয়াবহ কোন মরণব্যাধি নয়, তবে যিনি আক্রান্ত হন পরীক্ষার আগে তিনি বুঝতে পারেন না আক্রান্ত হয়েছেন। তাই উপসর্গ বেড়ে ওঠার আগেই প্রত্যেকেরই প্রয়োজন ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা।’
গতকাল সকালে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালনোপলক্ষে চট্টগ্রাম ডায়াবেটিস সমিতি আয়োজিত জাকির হোসেন রোডস্থ হাসপাতাল কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এই রোগ নিরাময় যোগ্য না হলেও মানুষকে নিজ নিজ জীবন যাপনে নিয়ন্ত্রণ সাধন ব্রতের শিক্ষা দেয়। কোন ভারী ডোজ ও দামী ঔষধপত্র নয়, নিয়ম মাফিক শৃংখলপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বিধি এই ব্যাধির একমাত্র শাস্ত্রসম্মত চিকিৎসা। যারা ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তারা বেশি দিন বাঁচেন এবং জীবনধারাও পরিশ্রম সাধ্য ও সুশৃঙ্খল হয়ে ওঠে। কাজে ও সৃজনে এই ব্যাধি বাধা হয়ে ওঠে না।
পৃথিবীর অনেক নামী-দামী মানুষ, এমন কি ক্রীড়াবিদ ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রেখে নিজ নিজ কর্ম-কর্তব্য করে যাচ্ছেন। বিশ্বখ্যাত পাকিস্তানি ক্রিকেটার ওয়াসিম আক্রাম ডায়াবেটিস রোগী হয়েও নিজেকে মেলে ধরেছিলেন।
তিনি আরো বলেন, আজকের সভ্য মানুষের পরিবারগুলো প্রায়ই কলহ কেন্দ্রিক। মা-বাবার অমিল ও ঝগড়া ঝাটিতে অনেক সন্তন গৃহবিমূখ। তাই মানসিক ও শারীরিক রোগ-বালাই মুসিবতে তারা ভুগছে। ডায়াবেটিসের আরেকটি কারণ মানসিক ও ¯œায়ুবিক উত্তেজনা। তাই সন্তানদের ভালোর জন্য আজকে মা-বাবাদের এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
চট্টগ্রাম ডায়াবেটিস সমিতির অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর চৌধুরীর চসিক প্রশাসককে ধন্যবাদ জানয়ে বলেন, তিনি প্রকৃত অর্থে আমাদেরই লোক। একজন রাজনীতিক হিসেবে তিনি জনকল্যাণমূখী কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আমাদের যেমন জানেন ও বুঝেন তেমনি আমরাও তাকে জানি ও বুঝি। তিনি আরো বলেন, ইনসুলিন ইনজেকশনের প্রবক্তা জন বেস্টিক ও বেনজিমের প্রতি সম্মান জানিয়ে ২০০৬ সাল থেকে জাতি সংঘ প্রতি বছর ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালন করে আসছে।
চট্টগ্রাম ডায়েবেটস সমিতির সহ-সভাপতি আবিদা মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী জাবেদ আফছার চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন, পুষ্টিবিদ হাসিনা আক্তার লিপি, ডাক্তার নওশের উল্লাহ চৌধুরী, জাফর আহমেদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর