তাজা ও প্রাকৃতিক পাকা আমে উচ্চ পরিমানে পরিমানে ন্যাচারাল সুগার থাকে (এক কাপ পাকা আমে ২২ গ্রাম সুগার)। তাই যাদের ডায়বেটিস ও অন্যান্য মেটাবোলিক ডিসঅর্ডার আছে তারা পাকা আম খেতে ভয় পান। কিন্তু, প্রকৃতপক্ষে তাজা আম তাদের জন্য ক্ষতিকর এমন কোন প্রমান পাওয়া যায়নি, বরং প্রাকৃতিকভাবে পাকা ও তাজা আম ডায়বেটিস প্রতিরোধ করে থাকে, প্রায় ১৪ থেকে ১৭ টি গবেষণায় তা দেখা যায়।
চলুন এবার জেনে নেয়া যাক যে আমে এমন কি কি পুষ্টি আছে যা এই সকল রোগ প্রতিরোধে কাজ করে-
এক কাপ (১৬৫ গ্রাম) তাজা আমে আছে: ক্যালোরি:৯৯; প্রোটিন: ১.৪ গ্রাম; কার্বোহাইড্রেট: ২৪.৭ গ্রাম; চর্বি: ০.৬ গ্রাম; ফাইবার: ২.৬ গ্রাম; চিনি: ২২.৫ গ্রাম
দৈনিক প্রয়োজনের ভিটামিন সি: ৬৭%, তামা: ২০%, ফোলেট: ১৮%, ভিটামিন বি৬:১২%, ভিটামিন এ: ১০%, ভিটামিন ই: ১০%, ভিটামিন কে: ৬%, নিয়াসিন: ৭%, পটাসিয়াম: ৬%, রিবোফ্লাভিন: ৫%, ম্যাগনেসিয়াম: ৪%, থায়ামিন: ডিভির ৪%।
এটির সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক পুষ্টি উপাদানগুলির মধ্যে একটি হল যে, মাত্র ১ কাপ (১৬৫ গ্রাম) তাজা আম ভিটামিন সি এর জন্য দৈনন্দিন চাহিদার প্রায় ৬৭% সরবরাহ করে। এই পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সাহায্য করে, আপনার শরীরকে আয়রন শোষণ করতে সাহায্য করে এবং কোষের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে এবং মেরামত করে।
তাই আপনি যদি ডায়াবেটিক হয়ে থাকেন নিশ্চিন্তে প্রাণভরে আম উপভোগ করুন কিছু সতর্কতা সাপেক্ষে –
১) কৃত্রিমভাবে পাকানো আম খাবেন না।
২) তাজা আম খাবেন কেটে বা ছিলে কিন্তু জুস বা ব্লেন্ড করে নয় যাতে আমের ফাইবার অক্ষুন্ন থাকে।
৩) সকালের নাস্তায় শুধুমাত্র আম খেলে ডায়াবেটিস নিরাময় ও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব! তবে আম খাওয়ার সময় সাথে দুধ বা ভাত জাতীয় অন্য কিছু খাবেন না শুধু আমই খাবেন।
৪) সুর্যাস্তের পর রাতে ভারী খাবার খাবেন না, সকালে আম খাবেন।
৫) আপনার যদি রক্তে পটাসিয়াম সংক্রান্ত জটিলতা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই আম খাবেন।
প্রকৃতি আমাদের প্রতি মৌসুমে যা প্রদান করে তা আমাদের উপকারের জন্যই প্রদান করে, সেগুলো গ্রহণ করতে দ্বিধা করবেন না। প্রাকৃতিক খাবার খান, জেনে বুঝে খান, ভালো থাকুন।