গতপর্বে আমরা আজীবন ডায়বেটিস বয়ে বেড়ানোর জন্য যে খাদ্যাভ্যাস ও খাদ্যতালিকা দায়ী সেগুলো আলোচনা করেছিলাম। এখন আমরা তার বিপরীতে যে খাদ্যভ্যাস ও জীবনযাপনের মাধ্যমে ডায়বেটিস থেকে মুক্তি পেতে পারি সে বিষয়ে জানবো। প্রথমত, সকালের নাস্তায় শুধু ফলফলাদি রাখা, কোনপ্রকার রুটি, ভাত, চিড়া, মুড়ি, বিস্কিট জাতীয় কার্বোহাইড্রেট না রাখা।
দ্বিতীয়ত, প্রাকৃতিক খাবার কে গ্রহন করে প্রসেসড ফুড বর্জন করা। ৭০% প্রাকৃতিক খাবার ও বাকী ৩০% রান্না করা খাবার তালিকায় রাখুন। এতে অগ্ন্যাশয়, লিভার ও পরিপাকতন্ত্রের উপর চাপ কমে যায়।
তৃতীয়ত, বায়োলজিক্যাল ঘড়ি অনুসারে সন্ধ্যার পর শরীর বিশ্রাম চায়, তাই সন্ধ্যার পর ভারী খাবার বন্ধ করে দেয়া। আমাদের পুর্বপুরুষরা এভাবে জীবনযাপন করে দীর্ঘদিন রোগমুক্ত থাকতেন।
চতুর্থত, রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট মুক্ত খাদ্যতালিকা গড়ে তোলা। দুপুর ও সন্ধ্যায় কলের চাল বাদ দিয়ে ঢেকিছাটা চাল দিয়ে খাবার খাওয়া, সাথে পর্যাপ্ত সবুজ শাকসবজি, মাছ, বীজ ও দানাদার খাবার খান।
পঞ্চমত, সাপ্তাহিক ২ দিন রোজা রাখা; এতে ক্ষতিগ্রস্থ বিটাসেল বিশ্রাম পায় ও পুনর্জীবন লাভ করে। এসময় ইফতারে ও সেহেরীতে তরল খাদ্যকে প্রাধান্য দেয়া।
লিভারকে সুস্থ রাখুন, হাইপারইন্সুলিনেমিয়া থেকে বাচুন। প্রতিদিন সকালে অন্তত হালকা কিছু ব্যায়াম করুন।
প্রতিদিন অন্তত ৬-৮ ঘন্টা নির্বিঘ্ন ঘুম নিশ্চিত করুন, ঘুমানোর ২ ঘন্টা পুর্ব থেকে মোবাইল থেকে দূরে থাকুন।
আর, এ পদ্ধতিগুলো হলো শুধু ডায়বেটিস থেকে নয় বরং হাইপ্রেশার, হার্টডিজিজ, স্ট্রোক এমনকি ক্যান্সার থেকে চিরমুক্তির সবচেয়ে সহজ পথ।
আমরা আপনাকে পথ দেখিয়ে দিবো, সে অনুসারে রোগমুক্তি আপনার হাতেই। ভালো থাকুন।