সুপ্রভাত ডেস্ক :
ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমে বিনিয়োগের সীমা কমিয়ে দিয়েছে সরকার। এখন থেকে একক নামে কেউ ১০ লাখ টাকার বেশি ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারবে না। এতদিন এই সীমা ছিল ৩০ লাখ টাকা। আর যুগ্ম–নামে বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা ৬০ লাখ টাকা থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ২০ লাখ টাকা।
সঞ্চয়পত্রের বিক্রির চাপ কমাতে গত বছরের ১ জুলাই থেকে মুনাফার উপর উৎসে করের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। একইসঙ্গে এক লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে টিআইএন (কর শনাক্তকরণ নম্বর) বাধ্যতামূলক করা হয়। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলে কোনো সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে না মর্মে শর্ত আরোপ করা হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ফেব্রুয়ারিতে ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদের হার কমানোর ঘোষণা দেয় অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ।
তিন বছর মেয়াদি ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদের হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। সমালোচনার মুখে পরে অবশ্য সে ঘোষণা প্রত্যাহার করে নেয় সরকার।
এখন এই সঞ্চয় স্কিমে বিনিয়োগের সীমা তিন ভাগের দুই ভাগই কমিয়ে দেওয়া হল।
বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে অবশ্য এই সীমা কমানোর কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংক আমানতে সুদহার এখন ৬ শতাংশ। আর ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের কিংবা সঞ্চয়পত্রে সুদহার সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। খবর বিডিনিউজ
“সুদের হার অনেক বেশি হওয়ায় সামাজিক নিরাপত্তার খাত হিসেবে বিবেচিত এ খাতে অনেক ধনী ব্যক্তিরা বিনিয়োগ করছে। পাশাপশি এ খাত থেকে ঋণ নিলে সরকারকে বেশি পরিমাণ সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে করে সরকারের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। তাই ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমে বিনিয়োগের সীমা কমিয়ে দিয়েছে সরকার।”