ট্রেনে ধর্ষণ : নারীর নিরাপত্তা কোথায়

মঙ্গলবার রাতে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের খাবারের বগিতে এক তরুণী ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকালে ট্রেনটি চট্টগ্রামে পৌঁছানোর পর ওই তরুণী জিআরপি পুলিশকে অভিযোগের পর ট্রেনে খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এসএ করপোরেশনের তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল গ্রেপ্তার করা হয় বাকি একজনকে। চট্টগ্রাম জিআরপি থানার ওসি এসএম শহীদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ওই তরুণী সিলেট স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন চট্টগ্রামে আসার জন্য। পথিমধ্যে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় ওই তরুণী চার জনকে অভিযুক্ত করে জিআরপি থানায় মামলা করেন।
বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উদয়ন ট্রেনের খাবার বগিতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। চলন্ত ট্রেনটি ওই সময় লাকসাম এলাকা পার হচ্ছিল। উদয়ন এক্সপ্রেস সিলেট থেকে মঙ্গলবার রাত ১০টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। চট্টগ্রাম পৌঁছে বুধবার সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে।
ওই তরুণী সিলেট থেকে উদয়ন এক্সপ্রেসে উঠে খাবার বগিতে অবস্থান করেন। সে সময় খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন কর্মী তাকে প্রথমে উত্ত্যক্ত এবং পরে ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগী সিলেট গিয়েছিলেন ভাইয়ের বাসায়। তার বাড়ি বান্দরবানে। বাড়ি যাওয়ার জন্যই চট্টগ্রামে আসছিলেন। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হলো। গ্রেফতাররা সবাই ওই ট্রেনে খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এস এ করপোরেশনের কর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে একটি চলন্ত ট্রেনে একজন নারীর কোনো নিরাপত্তা নেই যে ট্রেনে নিরাপত্তার জন্য বেশ কয়েকজন পুলিশ থাকেন। প্রশ্ন হলো, ট্রেনে পুলিশের দায়িত্ব হলো হরদম টহল দেওয়া সিটে বসে নাক ডাকা নয়। যদি পুলিশ নিয়মিত টহল দিত তাহলে বগিতে একজন নারীকে ধর্ষণ করা কোনোভাবেই সম্ভব হতো না।
আমরা ঘটনার তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করি। এবং সে বিচার যেন খুব দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক হয় সে দাবিও করি।
দেশে বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতার কারণে অনেক সময় সঠিক বিচার থেকে বঞ্চিত হয় বিচারপ্রার্থীরা। আর ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের বিচার খুব দ্রুত হওয়া উচিত যাতে সমাজে একটি কঠোর বার্তা দেওয়া যায়।
আশা করি এক্ষেত্রে দ্রুততার সঙ্গে অপরাধীদের বিচারের সম্মুখীন করা হবে।