ট্রেনের অগ্রীম টিকিট বিক্রি শুরু ১৪ মার্চ

ফাইল ছবি

সুপ্রভাত ডেস্ক »

চলছে পবিত্র রমজান। মাসের শেষেই উঠবে শাওয়ালের চাঁদ, আসবে ঈদ। উৎসব উপলক্ষে রাজধানীসহ সারা দেশের মানুষের মধ্যে নাড়ির টানে নিজ এলাকায় ফেরার এক অন্যরকম আনন্দ বিরাজ করে। প্রিয়জনের সাথে আনন্দ ভাগাভাগিতে মানুষ ছোটে নিরাপদ বাহনের খোঁজে। তাই, ট্র্রেন যাত্রাকে বেছে নেয় সবার আগে। এজন্য জিততে হয় টিকিট পাওয়ার কঠিন লড়াই। গতবারের মতো এবারও ৭ দিনের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

ঈদ উপলক্ষ্যে ১৪ মার্চ থেকে যাত্রীদের নামতে হবে সেই টিকিট কাটার যুদ্ধে। অগ্রীম টিকিটের পুরো কার্যক্রমই চলবে অনলাইনে।

২৪ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৪ মার্চ। একইভাবে ২৫ মার্চের টিকিট ১৫ মার্চ; ২৬ মার্চের টিকিট ১৬ মার্চ; ২৭ মার্চের টিকিট ১৭ মার্চ; ২৮ মার্চের টিকিট ১৮ মার্চ; ২৯ মার্চের টিকিট ১৯ মার্চ এবং ৩০ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ২০ মার্চ।

রেল সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম বলেন, ২৪ থেকে ৩০ মার্চ— এই সময়টাতে ঈদ যাত্রা হিসেবে চিহ্নিত করা রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী যাত্রার দিন হতে ১০ দিন আগে পাওয়া যাবে টিকিট।

তিনি আরও বলেন, দশটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেগুলো ২৭-২৮ মার্চ এই দু’দিন চলবে। ২৭ তারিখ একটি এবং ২৮ তারিখ স্পেশাল চারটি ট্রেন যাত্রা করবে।

টিকেট কালোবাজারি ও হয়রানি রোধে থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়া, ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রতিবারে মতো এবারও রিলিফ ট্রেনের ব্যবস্থাসহ আরও নানা কার্যক্রম থাকছে বলেও জানান তিনি।

প্রতিদিন সারাদেশে আন্তঃনগর ট্রেনে সাড়ে ৩৫ হাজার যাত্রী যাতায়াত করে। ঈদে তা বেড়ে দাড়ায় ৫০ হাজারের মতো। ফলে ব্যবস্থাপনায় থাকা রেল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরও থাকে বাড়তি দায়িত্ব।

বাংলাদেশ রেলওয়ের যুগ্ম মহাপরিচালক (অপারেশন) মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম জানান, এবার ঈদের আগে অগ্রীম টিকিট ব্যবস্থাপনা সম্পূর্ণ অনলাইনে চলবে। এসময় যাত্রীদের বাড়তি চাপ থাকে। আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে বাড়তি কোচও যুক্ত করা হবে।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে ৩১ মার্চ, ১ ও ২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হতে পারে। এছাড়া ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হতে পারে ২৪ মার্চ থেকে।