সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
আর মাত্র কয়েক মাস বাদেই শুরু অলিম্পিক। করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় এক বছর পিছিয়ে শুরু হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। জাপানের টোকিওতেআয়োজিত এই মেগা ইভেন্টের আগে অ্যাথলিটদের দেওয়া হবে করোনার ভ্যাকসিন। ফাইজার বা অ্যাস্ট্রাজেনকার নয়, প্রতিযোগীদের দেওয়া হবে চীনের করোনা ভ্যাকসিন। এমনটাই জানানো হয়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির পক্ষ থেকে। এজন্য তারা জুটি বেঁধেছে চিনের অলিম্পিক কমিটির সঙ্গে। তবে শুধু টোকিও অলিম্পিক নয়, ২০২২ সালে বেজিংয়ে আয়োজিত শীতকালীন গেমসেও প্রতিযোগীদের চিনের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার চীন অলিম্পিক কমিটির কর্তাদের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠক করেন আইওসি প্রধান টমাস বাখ। যে মিটিংয়ে করোনা ভ্যাকসিনের প্রসঙ্গ ওঠে। চীন অলিম্পিক কমিটির কর্তারা বাখ-কে জানিয়ে দেন যে অ্যাথলিটদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যাপারে তারা সব রকমের সাহায্য করবে। বৈঠক শেষে চীন অলিম্পিক কমিটির প্রশংসাও করেন বাখ। বললেন, ‘চীন অলিম্পিক কমিটির কর্তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে টোকিও অলিম্পিকে অংশ নিতে চলা প্রতিটা অ্যাথলিটই করোনা ভ্যাকসিন পাবে। আইওসিকে এমন সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় ধন্যবাদ দিতে চাই চীন অলিম্পিক কমিটিকে।’
করোনার জেরে গত বছর পিছিয়ে দেওয়া হয় অলিম্পিক। ঠিক হয় এ বছরের ২৩ জুলাই থেকে টোকিওয় শুরু হবে ক্রীড়াবিশ্বের অন্যতম ঐতিহাসিক ইভেন্ট। কিন্তু জাপানে করোনা পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তার উপর আবার টোকিওয় দেখা দিয়েছে করোনার নতুন স্ট্রেন। বাখ বললেন, ‘ক্রীড়াবিশ্বের বাকি প্রতিটা ইভেন্টই হচ্ছে। কথা দিচ্ছি প্রতিটা অ্যাথলিটকেই করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। যদি বাড়তি ভ্যাকসিনের দরকার পড়ে সেটার টাকা আইওসি দেবে। শুধু অলিম্পিক কেন? প্যারিলিম্পিকের প্রতিটা অ্যাথলিটকেও করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।’
খেলা