৩৩২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুক্রবার ১১৩ রান তুলতে ৭ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। গতকাল শেষ দিনে হাতে থাকা ৩ উইকেটে তাদের প্রয়োজন ছিল ২১৯ রান। মিচেল ৪৪ ও ইশ সোধি ৭ রানে দিন শুরু করেন। তবে তারা সুবিধা করতে পারেননি। আগের দিনের সঙ্গে মাত্র ৬৮ রান যোগ করে বাকি ৩ উইকেট হারায় কিউইরা। গুটিয়ে যায় ১৮১ রানে। এতে ১৫০ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। যা প্রথমবার ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট জয় টাইগারদের। নিজেদের ১৩৯তম টেস্ট ম্যাচে ১৯তম জয় পাওয়া বাংলাদেশ প্রতিপক্ষকে ১০০ বা এর চেয়ে বেশি রানের ব্যবধানে হারাল ৯ বার।
২০১৬ সালে নিজেদের মাঠে মিরপুর টেস্টে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে বড় দলের বিপক্ষে ১০০ রানের বেশি ব্যবধানে জয় এই দুটিই। ইনিংস ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয় হিসাবে আনলে তা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ২০১৮ সালে মিরপুরে তাদেরকে ইনিংস ও ১৮৪ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
কিন্তু গতকালের জয়টিকে তালিকার ওপরের সারিতে রাখতে হবে। কারণ সিলেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাওয়া ১৫০ রানের জয়টা আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ পাঁচে থাকা দলগুলোর বিপক্ষে রানের হিসাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়।
বড় দলগুলোর বিপক্ষে এর আগে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়টা ছিল ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। মিরপুরে সে ম্যাচে ১০৮ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে ও আফগানিস্তানের বাইরে টেস্ট খেলুড়ে অন্য দলগুলোর বিপক্ষে রানের হিসাবে সিলেট টেস্টেই সবচেয়ে বড় জয় পেল নাজমুল হোসেনের দল।
এ নিয়ে তিনটি দলের বিপক্ষে একাধিক টেস্ট জিতল বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর নিউজিল্যান্ড।
যেকোনো দলের বিপক্ষে উইকেট ব্যবধানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়টা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই। গত বছর মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ইতিহাস গড়ার ম্যাচে কিউইদের হারিয়েছিল ৮ উইকেটে।
সেটা এখন পর্যন্ত সব সংস্করণ মিলিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে বাংলাদেশের একমাত্র জয়। সে সময়ও নিউজিল্যান্ড ছিল আইসিসি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়ন এবং র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ পাঁচ দলের একটি।
এই জয়টা বাংলাদেশের জন্য খুব দরকার ছিল। বিশ্বকাপে বাজে পারফর্মেন্সের কারণে সমালোচিত ক্রিকেট দলের আত্মবিশ্বাস ফেরাতে জয়টি উদ্দীপকের ভূমিকা রাখবে। সে সঙ্গে দেশের ক্রিকেটমোদী দর্শকরাও কিছুটা চাঙা হওয়ার অবকাশ পেলো। টাইগারদের এই অসাধারণ জয়ে আমাদের আন্তরিক অভিনন্দন রইল।
এ মুহূর্তের সংবাদ