নিজস্ব প্রতিনিধি, টেকনাফ :
টেকনাফ পৌরসভা কায়ুকখালী পাড়া ঘাটে ফিশিং বোটের ধাক্কায় স্পিডবোট ডুবিতে নিখোঁজ শিশু সুমাইয়া আকতার (৭) এর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টার দিকে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ জালিয়াপাড়াস্থ নাফ নদীর চর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এনিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা হলো ৩ জন। তারা হলো মো. আয়াছ প্রকাশ বাটুর স্ত্রী রশিদা বেগম (৫৮), আব্দুল জলিলের স্ত্রী ও মো. আয়াছের মাতা মেহেরুন নিছা (৬০) এবং তার নাতনী মো. আয়াছের শিশু কন্যা সুমাইয়া আকতার (৭)।
স্পিড বোটের যাত্রী আহত মোহাম্মদ আমিন জানান, অতিরিক্ত যাত্রী ও চালক মাদকাসক্ত হওয়ার কারণে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনি তার মা কে হারান। তিনি ওই ঘটনার বিচার দাবি করেন।
উল্লেখ্য, প্রতিদিনের মত ৮ সেপ্টেম্বর টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর মালিকানাধীন স্পিড বোটে ৪ জন মহিলাসহ ১১ জন যাত্রী উঠেন। এর চালক ছিলেন মোহাম্মদ গণির ছেলে মোহামদ কায়সার (২৮)। টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী পাড়া এলাকার খাল থেকে বের হওয়ার পথে টেকনাফগামী ফিশিং বোটের সাথে ধাক্কায় স্পিড বোটটি উল্টে যায়। এ ঘটনায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের মো. আয়াছের মাতা মেহেরুন নিছা (৬০) কক্সবাজার নেওয়ার পথে মৃত্যু ঘটে ও তার সাত বছরের মেয়ে নিখোঁজ হয়। এছাড়া একই এলাকার মোহাং বাটুর স্ত্রী রশিদা বেগম টেকনাফ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।