জিয়াবুল হক, টেকনাফ »
টেকনাফ উপজেলায় মৌসুমের ফল শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। স্থানীয় চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদন হওয়ায় প্রতিদিন হাজার-হাজার মণ শসা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরবরাহ হচ্ছে। এতে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ বেড়েছে শসা চাষে। কিন্তু শ্রমিক ও বীজ রোপণের সময় খরচ বেশি হওয়ার কারণে শসার ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় উৎপাদন খরচ পোষাতে হিমশিম খাচ্ছে বলে চাষিরা জানিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়ন, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন, বাহারছড়া ইউনিয়ন, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন, সাবরাং ইউনিয়ন ও শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় প্রচুর পরিমাণে শসার ক্ষেত করেছে চাষিরা। তন্মধ্যে বাহারছড়া ইউনিয়ন ও সাবরাং ইউনিয়ন ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকায় বেশি ফলন হয়েছে। তাছাড়া টমেটো, মূলা, বেগুনসহ অন্যান্য শীতকালিন শাক-সবজির ফলনও ভালো হয়েছে। টেকনাফের মাটি শসা উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী হওয়ায় ফলন যেমনি ভালো তেমনিভাবে খেতেও অত্যন্ত সুস্বাধু বলে বিশেষজ্ঞ মতামতে জানা গেছে। প্রতিদিন সকালে প্রত্যন্ত এলাকার চাষিরা উপজেলার প্রাণকেন্দ্র টেকনাফ পৌরসভার বাস স্টেশন, উপরের বাজারে বিক্রির জন্য হাজার-হাজার মণ শসা মজুত করে। এমনকি সাবরাং সিকদার পাড়া বাজার ও শাহপরীর দ্বীপ রাস্তার মাথা বাজারে বিক্রি হচ্ছে শসা। স্থানীয় ও বহিরাগত পাইকারি ব্যবসায়িরা প্রতি বস্তা শসা ১২-১৫ টাকা করে কিনে নেয়। বেশ কয়েকজন পাইকার এখান থেকে প্রতিদিন অন্তত: ৩/৪ হাজার মণ শসা দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ধোলাই খরচ বেশি যাওয়ায় লাভের মুখ তেমন দেখছে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ফরিদ।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি সহকারী কর্মকর্তা শফিউল আলম বলেন, ‘মাঠপর্যায়ে চাষিদের নিয়ে সবজি চাষাবাদে উদ্বুদ্ধকরণ সভা করেছি আমরা। সে কারণে এবার শসার ফলন হয়েছে বেশি। অল্প সময়ে কম পুঁজিতে বেশি লাভ হয় বলে চাষিরা শসা চাষে ঝুঁকছে বেশি।