জিয়াবুল হক, টেকনাফ :
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এখনও অস্থায়ী পশুর হাট না বসলেও জমতে শুরু করেছে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার স্থায়ী পশুর-হাটগুলো। মহামারী করোনাভাইরাস এড়াতে স্থানীয় প্রশাসন স্বাস্থবিধি মেনে পশুর হাটে বেচা-কেনার নির্দেশনা দিলেও তা মানছে না কেউই।নেই কোন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পশু ডাক্তার বা পর্যবেক্ষণ টিম। ফলে পশু রোগ নির্ণয়ের নেই কোন ব্যবস্থা।
হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতারা মাক্স, হেন্ডগ্লাবস ছাড়াই ও সামাজিক দূরত্ব না মেনেই পশু ক্রয়-বিক্রয় করছে। এতে যেন পশুর হাটগুলো করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিতে পরিণত হচ্ছে।
টেকনাফ হাট বাজার গুলো পরিদর্শন করে দেখা যায়, টেকনাফ উপজেলার বড় হাট সদর ইউনিয়নের গোদার বিল হাট, শাহ পরীর দ্বীপ করিডর, হ্নীলা হাট বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন পশুরহাট গুলোতে। এখন পর্যন্ত উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২৮১ জন মানুষ, সুস্থ হয়েছে ২৪১ জন ও করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। অন্যদিকে উপজেলায় ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গবাদি পশু।
ফলে দামও কমছে পশুর। এরপরেও হাটগুলোতে পশুগুলোর কোনোরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই চলছে ক্রয়-বিক্রয়। বাজার গুলোতে নেই কোন পশু রোগ নির্ণয় করার ব্যবস্থা, নেই কোন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পশু ডাক্তার বা পর্যবেক্ষণ টিম।
স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা বলেন, পশুগুলোকে কোন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই বাজারে প্রবেশ করা হচ্ছে।সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে মাক্স বা সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা উচিত।কিন্তু নানা অযুহাত দেখিয়ে মানছেন না কেউ কোনো স্বাস্থ্যবিধি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, দেশের অর্থনীতিকে সচল ও মানুষের আয় রোজকার ঠিক রাখার জন্য জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় এই হাটগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট পরিচালনার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার সচেতনতা মূলক মাইকিং করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে জরিমানার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। তারপরও স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ওয়াহিদুল আলম বলেন, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে টেকনাফের পশুর হাটগুলোতে প্রাণী সম্পদ বিভাগের ৩টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পশুর হাটে তাদের কাজ করার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু পশুর হাটগুলোতে কেন মেডিকেল টিম যায়’নি তা খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রেতা ও বিক্রেতারা উভয়ে যাতে উপকৃত হয় তার জন্য সার্বক্ষণিক তদারকি করা হবে পশুর হাটগুলোতে।
এছাড়া, ক্রেতা-বিক্রেতারা করোনা সংক্রমন এড়াতে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি, এবছর অস্থায়ী পশুর হাটকে নিরৎসাহিত করে পশুর বেচা-কেনায় অনলাইন প্লাটফর্ম চালু করেছে জেলা প্রশাসন।