জিয়াবুল হক, টেকনাফ
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলতি অর্থবছরে ৯০ হেক্টর জমিতে দেশীয় গোল আলুর চাষ করা হয়েছে। এইবার আলুর বাম্পার ফলন হওয়ার পর প্রদর্শনী মাঠের ফসল তোলার মাধ্যমে নমুনা শস্য কর্তন শুরু হয়েছে।
জানা যায়, চলতি অর্থ বছরে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নে ২৫ হেক্টর, হ্নীলা ইউনিয়নে ২০ হেক্টর, টেকনাফ সদর হ্নীলা ইউনিয়নে ১৬ হেক্টর, সাবরাং ইউনিয়নে ১৪ হেক্টর, বাহারছড়া ইউনিয়নে ১৩ হেক্টর এবং সেন্টমার্টিন ইউনিয়নে ২ হেক্টরসহ মোট ৯০০ হেক্টর জমিতে দেশীয় গোল আলু চাষাবাদ করা হয়।
হোয়াইক্যাং ইউনিয়নের কুতুবদিয়া পাড়া এলাকার মো. আয়ুব, আব্দু সালাম জানান, চলতি মৌসুমে দেশীয় আলুর বাম্পার ফলন বৃদ্ধি হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে আরও কারিগরি সহায়তা পেলে স্থানীয় কৃষকরা আলুর চাষে উৎসাহ হবে।
উপজেলা উপসহকারী কৃষি অফিসার শফিউল আলম কুতুবী জানান, ‘টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেশখালীয়া পাড়া এলাকার আবুল ফয়েজের ১০ শতক এবং ইউনুছের ১৫ শতক জমিতে নমুনা শস্য আলু উত্তোলন করা হয়। উত্তোলিত আলু পরিমাণ করে ফয়েজের জমিতে প্রতি হেক্টরে ১৫ মেট্টিকটন এবং ইউনুছের জমিতে প্রতি হেক্টরে ১৮ মেট্টিক টন আলুর ফলন হয়েছে, যা অন্যান্য বছরের তুলনায় ফলন বেশি। এই শস্য উত্তোলনের মাধ্যমে পুরো উপজেলার আলু চাষীরা পর্যায়ক্রমে আলু উত্তোলন শুরু করেছে। এই বাম্পার ফলনের ফলে কৃষকেরা একদিকে ন্যায্যমূল্য পাবে, অপরদিকে স্থানীয় সবজি বাজার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে সহায়ক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা যাচ্ছে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার জাকিরুল ইসলাম জানান, ‘চলতি অর্থ বছরে টেকনাফ উপজেলায় ৯০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। টেকনাফ কৃষি অফিসের মাঠ পর্যায়ের উপসহকারী কৃষি অফিসারদের কারিগরি সহযোগিতায় ও সার, কীটনাশক সহজলভ্য হওয়াই এই বছর আলুর ফলন ভালো হয়েছে। খাদ্য উৎপাদনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দিক-নির্দেশনায় যেকোন ফসল উৎপাদনে উপজেলা কৃষি অফিস সার্বিক সহায়তা দিয়ে কৃষি উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহ দিয়ে আসছে। দেশীয় অধিক খাদ্য শস্য উৎপাদনে আগামীতেও আমাদের সার্বিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে।’
উল্লেখ্য, গত ৭ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে চাষাবাদকৃত নমুনা শস্য পরিদর্শন করেন উন্নয়ন শাখায় দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি অফিসার শফিউল আলম কুতুবীর নেতৃত্বে উপসহকারী কৃষি অফিসার ওবাইদ মোহাম্মদ রাশেদ, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার এস এম শাহজাহান ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তদন্তকারী নুরুল আবছারসহ একটি প্রতিনিধি দল।