দীর্ঘ এক মাস বন্ধ থাকার পর ডিলারদের মাধ্যমে ট্রাকসেলে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি। শুরু হলেও প্রতি ট্রাকে পণ্য দেয়া হচ্ছে মাত্র ২০০ জনের। অথচ ট্রাক আসার কয়েকঘন্টা আগে থেকে তিন থেকে পাঁচ শ মানুষ লাইন ধরে থাকে। যা দেওয়া হয় তা উপস্থিত ক্রেতাদের তুলনায় একেবারেই নগণ্য। যার কারণে নগরে টিসিবির প্রতিটি ট্রাকেই পণ্য নেয়ার জন্য সাধারণ মানুষের হুড়োহুড়ি-কাড়াকাড়ি এবং হাতাহাতির মত ঘটনাও ঘটছে।
পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, তীব্র রোদে দীর্ঘক্ষণ টিসিবির ন্যায্য মূল্যের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য না পেয়ে শত শত মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই টিসিবির ট্রাক ডিলারদের সাথে ঝগড়ায়ও জড়িয়েছেন। এ সময় পণ্য না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাওয়া অনেকে টিসিবির পণ্য বাড়ানোর জন্য দাবি জানিয়েছেন। ক্রেতাদের অভিযোগ একটি ট্রাকে মাত্র ২০০ জনের পণ্য এটা একেবারেই নগণ্য।
এই ব্যাপারে টিসিবির চট্টগ্রাম অফিস প্রধান (যুগ্ম পরিচালক) মো. শফিকুর ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমিও দেখতে পাচ্ছি টিসিবির প্রতিটি ট্রাকে পণ্যের জন্য সাধারণ মানুষের দীর্ঘ লাইন। কিন্তু আমারও তো কোনো উপায় নেই। আমার কাছে অর্ডার আছে প্রতি ট্রাকে ২০০ জনের জন্য। আমি চাইলেও বেশি দিতে পারবো না। এটা কর্তৃপক্ষ না চাইলে হবে না। তিনি বলেন, আমাদেরকে যেভাবে অর্ডার দেয়া হয়েছে আমরা সেইভাবেই পণ্য দিচ্ছি।
চট্টগ্রামে টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড অ্যাক্টিভ না হওয়ায় গত একমাস টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রি বন্ধ ছিল। গত সোমবার থেকে বিক্রি আবার শুরু হয়েছে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। সীমিত আয়ের মানুষ এখন দিশাহারা। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব মিলছে না দিনের পর দিন, বছরের পর বছর। এ অবস্থায় ন্যায্যমূল্যে বিক্রির কার্যক্রম আরও বেশি সম্প্রসারিত করতে হবে। সরকারের অগ্রাধিকার কার্যতালিকায় থাকা উচিত বাজার নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি।
এ মুহূর্তের সংবাদ