সুপ্রভাত ডেস্ক »
চট্টগ্রাম নগরীতে সড়কের পাশে টায়ারের খোলা গুদামে লাগা আগুন প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় নেভানো সম্ভব হয়েছে। রেললাইন সংলগ্ন স্থানে আগুন লাগায় চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে ট্রেন আসা-যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। আটকা পড়ে কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেন। গতকাল শনিবার বিকেল ৪টার দিকে আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঘটনাস্থলে থাকা আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার এনামুল হক।
দেওয়ানহাট ওভারব্রিজের নিচে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইন সংলগ্ন সড়কের মাঝে সীমানা দেয়াল ঘেঁষে পুরনো ও পরিত্যক্ত টায়ার স্তূপ করে রাখা থাকে। স্থানীয়ভাবে এটি টায়ারের খোলা গুদাম হিসেবে পরিচিত। খবর সারাবাংলা’র।
চট্টগ্রামের ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুপুর পৌনে ১টার দিকে অগ্নিকা-ের তথ্য আসে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে। দ্রুততার সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। পরে আরও ছয়টি ইউনিট যোগ দেয়। দুপুর আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ৪টার দিকে আগুন পুরোপুরি নেভানো হয়।
আগুন লাগার পর লেলিহান শিখা ও কালো ধোঁয়ায় আশপাশের এলাকা আচ্ছন্ন হয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। টায়ার পোড়া গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, ‘টায়ারের আগুন হওয়ায় সেটি বেশি ছড়িয়ে গেছে। তবে পাশের বস্তিকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি। না হলে আগুনের ক্ষয়ক্ষতি আরও বেশি হতো। এখন শুধুমাত্র টায়ার পুড়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত অংশ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ঘটনাস্থলে প্রচুর লোকজন জড়ো হয়ে যায়। সেজন্য আমাদের আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে।’
এদিকে আগুন লাগার পর প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। দুপুর দেড়টায় ঢাকা থেকে আসা সোনার বাংলা ট্রেন স্টেশনে ঢুকতে পারেনি। এছাড়া রেলওয়ের মার্শাল ইয়ার্ডে বিজয় ও মহানগর এক্সপ্রেসও আটকা পড়ে। সেগুলো চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে আবারও ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার জাফর আলম বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস থেকে ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পর বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে আমরা ট্রেন চলাচলের অনুমতি দেই। বিজয় এক্সপ্রেস ছেড়ে গেছে। এরপর মহানগর ছেড়েছে। সোনার বাংলা এরপর আসবে।