দুই পাড়ে শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠার সম্ভাবনা
নিজস্ব প্রতিনিধি,পটিয়া
দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে পটিয়া উপজেলার কৈয়গ্রাম সেতু। বর্তমানে এটির ৭০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৩ সালের মার্চ মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার কথা রয়েছে। সেতুটির সাথে বঙ্গবন্ধু টানেল সংযোগ সড়কের যোগাযোগ থাকবে। এ সেতু নির্মাণকে কেন্দ্র করে ব্রীজের দুই পাশে ক্ষুদ্র শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে ৩২ কোটি ৭০ লাখ টাকায় কাজটি করছে মেসার্স তাহের এন্ড ব্রাদার্স। চট্টগ্রাম জেলা ভুমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে ভূমির ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় ২২ কোটি টাকা ভূমির মালিকদের বিতরণ করা হয়েছে। এর আগে অধিগ্রহণের টাকা দিতে বিলম্ব হওয়ায় স্থানীয়রা কাজ বন্ধ করে দিলেও বর্তমানে তা পুরোদমে চলছে।
এলজিইডি অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শিকলবাহা খালে পাকিস্তান আমলে একটি স্ট্রিল ব্রিজ ছিল। ওই সেতুটি কৈয়গ্রাম সেতু হিসেবে পরিচিত। স্ট্রিল ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়রা নৌকা দিয়ে চলাচল করতেন। বর্তমান সরকার উপজেলার জিরি ইউনিয়নের শিকলবাহা খালের উপর ২০১৭ সালে এলজিইডির অর্থায়নে ৩৯০ মিটারের একটি গার্ডার সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করে। সেতু নির্মাণ কাজের শুরুতে ভূমি অধিগ্রহণসহ ৪১ কোটি ২৫ লাখ ৪২ হাজার ২৭৮ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রথম ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল আমিন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এবং তাহের ব্রাদার্স লিমিটেড জেভি কাজ শুরু করে। বর্তমানে মেসার্স তাহের এন্ড ব্রাদার্স এককভাবে কাজটি করেছে। ব্রিজের পূর্ব পাড়ে ৫০০ মিটার এপ্রোচ সড়ক, পশ্চিম পাড়ে ৮০০ মিটার সড়ক করার কথা রয়েছে। ব্রিজটির ৮টি পিলারের মধ্যে খালে ২টি পিলার এবং দুই পাড়ে ২৪ ফুট করে ৫টি গার্ডার থাকবে। প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য হবে ৪০ ও ৫০মিটার। ২০১৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর পটিয়ার সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী সেতু নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ দত্ত জানিয়েছেন, শিকলবাহা খালের উপর পিসি গার্ডার সেতুর বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন (বিআইডাব্লিউটিএ) খালের ওয়াটার লেভেলের রির্পোট দেওয়ার পর এলজিইডির অর্থায়তনে সেতুটি নির্মাণের জন্য টেন্ডার হয়। সেতুর পশ্চিম পাশের দিঘীরপাড় সড়ক হয়ে বঙ্গবন্ধু টানেলে যুক্ত হবে এবং পূর্ব পাড়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা ওয়াহিদুর রহমান সড়ক হয়ে পরে বঙ্গবন্ধু সড়কের সঙ্গে যুক্ত হবে। এতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের বিকল্প পথে দূরত্ব কমবে প্রায় ১০ কিলোমিটার। আগামী ২০২৩ সালের মার্চ মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করেন সংশ্লিষ্টরা।